ভোমরায় অবৈধ ভাবে চলছে গবাদি পশুর বিট-খাটাল

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা বিওপির অধীনে অবৈধ .ভাবে চলছে গবাদি পশুর বিট-খাটাল। আর এর সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ফিরোজ এর বিরুদ্ধে। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে যে কোন মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অসংখ্য করছে স্থানীয়রা। প্রাপ্ত  তথ্যে জানাজায়, সাতক্ষীরার ৩৮ বিজিবির অধীনে ভোমরা বিট-খাটাল অবৈধভাবে পরিচালনা করছিলো  লিয়াকত আলী নামের এক ব্যক্তি। এ খাটালে বৈধ অনুমোদনের জন্য সদর উপজেলার ভোমরা গ্রামের আব্দুল খালেক গাজীর পুত্র আশরাফুল ইসলাম আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষে ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে ৪৪.০২.৯৪০০.১৩৮.০১.১২৪- স্মারকে জন নিরাপত্তা বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক তাকে অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমতি সাপেক্ষে বিট-খাটাল পরিচালনার জন্য অধিনায়ক ৩৮ বিজিবি সাতক্ষীরা, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর থানা অফিসার ইনচার্জ ও রাজস্ব কর্মকর্তা কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাট, সাতক্ষীরা কে অনুলিপি দেওয়া হয়। একই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে ৪৪.০০.০০০০.১১৭.০৩.০০৭.১৫/২৪১ স্মারকে ভোমরা বিওপির অধীনে সীমান্ত এলাকায় গবাদি পশু বিট-খাটাল স্থাপন পরিচালনায় শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দেন মোঃ আলমগীর হোসেন, সিনিয়র সহকারী সচিব। যাহার অনুলিপি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, চেয়ারম্যান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মহা পরিচালক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বিভাগীয় কমিশনার, মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর একান্ত সচিব, পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা, সচিব মহোদয়ের একান্ত সচিব, নিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনাব মোঃ আশরাফুল ইসলাম, পিতা- মোঃ আব্দুল খালেক গাজী, গ্রাম- ভোমরা, উপজেলা- সাতক্ষীরা ও সাতক্ষীরা জেলাকে পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেন। একই সাথে ৪৪.০২.৯৪০০.১৩৮.০১.১২৪-এ.১৭ সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার ভোমরা বিওপির অধীনে সীমান্ত এলাকায় গবাদি পশুর খাটাল স্থাপন পরিচালনার এক অনুমতি প্রদান করা হয় আবেদনকারীকে। যাহার অনুমতি সাপেক্ষে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা স্মারক নং- ০৫.৪৪.৮৭০০.০১২.৪৭.০০৯.১৭.১৪৩১ গত ২০ জুলাই ২০১৭ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সাতক্ষীরা (জুডিশিয়াল মুন্সিখানা) স্মারক নং ০৫.৪৪.৮৭০০.০১২.৪৭.০০৯.১৭.১৪৩১ গত ৪ঠা ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়। বিগত খাটাল পরিচালনাকারী মোঃ লিয়াকত আলী, পিতা- মৃত লুৎফর রহমান, পোষ্ট- শাখরা কোমরপুর, থানা ও জেলা- সাতক্ষীরা বিট-খাটাল পরিচালনা করে আসছিলো। পরবর্তী বারাত (খ) এর আলোকে জনাব মোঃ আশরাফুল ইসলাম, পিতা- মোঃ খালেক গাজী, গ্রাম- ভোমরা, থানা ও জেলাঃ সাতক্ষীরা অনুকুলে একই এলাকায় বিট-খাটাল পরিচালনায় অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। বর্ণিত আদেশের প্রেক্ষিতে সর্ব শেষ আদেশ অনুযায়ী ঐ এলাকায় বিট-খাটাল পরিচালনা করবেন একমাত্র আশরাফুল ইসলাম নির্দেশনা দিয়ে অধিনায়ক মোঃ আরমান হোসেন, ৩৮ বিজিবি নির্দেশ দেন। কিন্তু বর্তমান ভোমরা বিওপি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার ফিরোজ হোসেন সরকারের সমস্ত দপ্তরের নির্দেশ উপেক্ষা করে অনুমতি প্রাপ্ত বৈধ বিট-খাটাল পরিচালনা করি আশরাফুলের অনুকূলে অর্ধেক ও অবৈধ বিট-খাটাল পরিচালনাকারী মোঃ লিয়াকত আলীকে অর্ধেক আমদানিকৃত গবাদি পশু পরিচালনা অলিখিত নির্দেশ দিয়েছেন। যা বিট-খাটাল পরিচালনা নির্দেশনার সম্পূর্ণ বিধিবহি:র্ভূত। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় ভোমরা বিওপি ক্যাম্পেরি পিছনে নির্দ্দিষ্ট বিট-খাটালের বাইরে অবৈধ ভাবে আরও একটি খাটাল পরিচালনা করছেন বিগত পরিচালনাকারী লিয়াকত আলী। এ বিষয়ে ভোমারা বিওপি কমান্ডার সুবেদার ফিরোজ হোসেন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি বৈধ-অবৈধ খাটালে আমদানিকৃত গরু ভাগ করে দিচ্ছেন। এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহম্মেদ স্বজল জানিয়েছেন, সর্বশেষ নির্দেশ অনুযায়ী যিনি দায়িত্ব পেয়েছেন তিনিই বিট-খাটাল পরিচালনা করবেন। কোম্পানী কমান্ডারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নীতি বহি:র্ভূত ভাবে অবৈধ খাটালে গরু আমদানির কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে ৩৮ বিজিবির অধিনায়ক আরমান হোসেন এ প্রতিবেদকে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তদন্ত পূর্বক বৈধ খাটাল পরিচালনাকারীকে তার দায়িত্ব বুঝে দেওয়া হবে। অবৈধ বিট-খাটাল পরিচালনা কারী লিয়াকত আলী জানিয়েছেন উচ্চ আদালতের রিটের মাধ্যমে তিনি খাটাল পরিচালনা করছেন।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)