ভারতের সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চান ইমরান

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের বুনোট ঠিক করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চেয়েছে ইমরান খানের প্রশাসন। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই দেশ নিজেদের মধ্যে কোন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও অংশগ্রহণ করছে না। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি তার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সতর্ক করে দিতে ভোলেননি। তিনি বলেন, এমন আচরণের ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও অবনতি হবে।

পাকিস্তানের আহ্বানে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটনে বুধবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তার আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল সংশ্লিষ্ট ইস্যুটি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সামনে তুলে ধরা।

ইউএস ইন্সটিটিউট অব পিসের পক্ষ থেকে করা একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখন আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে এই ইস্যুটিতে হস্তক্ষেপ করতে বলছি…কেন বলছি? তার কারণ, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে আর কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক জাতীয় কিছু হয় না। এর ফলে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে একটি অনিবার্য দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে। আমরা নিজেদের লক্ষ্যে স্থির থাকতে চাই। আমরা সীমান্তের পশ্চিম প্রান্তে যেতে চাই।

কিন্তু সেটা করতে পারছি না এখন আমরা। কারণ, আমাদের পূর্ব দিকের প্রতিবেশী কী করছে, তার দিকে যথেষ্ট নজর দিতে হচ্ছে। এটা মোটেও স্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি নয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রশ্ন ছিল, আপনারা (যুক্তরাষ্ট্র) কি এই ব্যাপারটা নিয়ে একটু এগোতে পারেন?

হস্তক্ষেপ করে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন? যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা চায় এই সমস্যার সমাধান হোক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ারই তো কোনও সম্ভাবনা নেই। তাহলে আর সমাধান কি করে হবে? প্রশ্ন করেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

যেভাবে দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে তাতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা না করা হলে তার পরিণতি কোনওভাবেই ভালো হবে না। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো ব্যাপারগুলোর কোনও অর্থ হয় না বলে উল্লেখ করেছেন শাহ মেহমুদ কুরেশি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)