বড়দলে অবৈধ ভাবে জমি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন
আশাশুনির বড়দলে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও জমি জবর দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে দক্ষিণ বড়দল কালীমন্দিরের সামনে গ্রামবাসীর আয়োজনে ঐ এলাকার জেলে সম্প্রদায়ের ১শ ৮ পরিবারের দু শতাধিক নারী পুরুষ উক্ত মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে ইউপি সদস্য দেব্রত মন্ডলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, দেবেন মন্ডল,বিভুতি রায়, নমিতা রাণী মন্ডল, কালিদাসী মন্ডল প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দঃ বড়দল গ্রামে ১০৮ পরিবার জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করেন। তাদের বাড়ী সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের প্রায় ২ শতাধিক বিঘা চরভরাটি জমি উঠলে বিগত ২০০৯ সাল থেকে আশাশুনি সীমানার উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গ সহ একই সম্প্রদায়ের ৪৭ জন সরকারি ইজারা পরিশোধ করে ২৩ একর জমি ভোগদখলে নিয়ে মাছচাষ করে আসছিলো। দু’জেলার মধ্যে সীমানা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে গত ১৮/৬/২০১৭ সালে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার পক্ষে সার্ভেয়ার মাপ জরিপ করে দুই জেলার সীমানা নির্ধারণ করে দেন।
কিন্তু বড়দল গ্রামের মৃত ইন্তাজ গাজীর ছেলে আনিছ গাজী, বাছেদ গাজী, জোহর গাজীর ছেলে মিজানুর গাজী, ইসলাম গাজীর ছেলে আমিরুল গাজী খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার নোবায়েত মোল্যার ছেলে মনিরুল, একই গ্রামের আরিফুল, কামাল গাজীসহ কিছু ভূমিদস্যু সরকারি সীমানা পিলার না মেনে জেলে সম্প্রদায়ের এই ভোগদখলী ইজারাকৃত জমি থেকে ১৪৬৫ দাগের প্রায় ১৫ একর জমি তারা দখল করে নিয়েছে।
নমিতা রাণী মন্ডল জানান, উপরোক্ত ভূমিদস্যুরা প্রকাশ্যে আমাদের জানমালের ক্ষয় ক্ষতি ও জমি ছেড়ে দিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের রাত হলে ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে।
বিভুতি রায় বলেন, সোমবার সকালে সাংবাদিক পরিচয়ে এক ব্যক্তি কিছু লোকজন নিয়ে আমাদের ঘের থেকে জোর করে মাছ মেরে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম মোল্যা জানান, উভয় উপজেলার সীমানা নির্ধারণ করার পরেও এপার ওপারের কিছু লোকজন সীমানা না মেনে এলাকার শান্তি নষ্ট করছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও জমি জবর দখলের খবর আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপরোক্ত ইজারাকৃত জমি জেলে সম্প্রদায়ের মধ্যে ফিরিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ১০৮ পরিবারের লোকজন।