বড়দলের ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ প্রতারণার শিকার
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ শীল বায়না দেওয়া জমি না পেয়ে ও হাওলাতি টাকা না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। প্রতারণাকারীদের খপ্পর থেকে রক্ষা পেতে তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের চতুর চন্দ্র শীলের পুত্র জুয়েলারী ব্যবসায়ী বিশ^নাথ জানান, বাজারের পুরনো ব্যবসায়ী ফকরাবাদ গ্রামের দাউদ সরদারের পুত্র আছাদুল ইসলামের কাছ থেকে ৪ বিঘা জমি ক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। প্রতিবিঘা জমি ৫ লক্ষ টাকা হিসাবে মূল্য নির্ধারণ পূর্বক অগ্রিম ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। সিকউিরিটি হিসাবে একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বায়না পত্র ও ব্যাংকের চেক গ্রহণ করেন। কিন্তু আছাদুল গোপনে উক্ত সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রয় করে আত্মগোপন করেছেন। এমনকি আত্মগোপনে থেকে টাকা ফেরৎ না দেওয়ার ষড়যন্ত্র মাথায় রেখে তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করেছেন। অপরদিকে তার পাশের ঔষধ ব্যবসায়ী ফকরাবাদ গ্রামের শাহিন বিশ্বাসের পুত্র গোলাম মোস্তফা পাশাপাশি থাকার সুযোগের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে মাঝে মধ্যে টাকা হাওলাত নিতেন। এবং লেনদেনও ভাল করতেন। ৩/৪ মাস আগে তিনি বড় অংকের টাকা হাওলাত চান। এজন্য তিনি সিকিউরিটি হিসাবে ব্যাংকের একটি চেক লিখে দেন। চেক পেয়ে বিশ্বনাথ তাকে ৩ কিস্তিতে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাওলাত দেন। কিন্তু আজ দেই কাল দেই করে তিনি টাকা দিচ্ছেনা। বরং তালবাহনার মাত্রাটা তার কাছে বেশ খারাপ মনে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে তিনি অনেকের দ্বারস্থ হচ্ছেন। বায়নার জমি অন্যত্র বিক্রয় করে তাকে ফাসনোর ফন্দি ফিকির, অন্যদিকে হাওলাতী টাকা না দিয়ে তালবাহনার শিকার হয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ । এব্যাপারে বাজার কমিটি ও আইন প্রয়োগাকরী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
20
