বিনেরপোতার ভূমিদস্যু শওকত আলী: পর্ব ১ : সরকারের দেওয়া প্রতিবন্ধীর জমি দখল!
একের পর এক সরকারি জমি দখল করে এবার সাতক্ষীরার বিনেরপোতা এলাকার অসহায় প্রতিবন্ধী সীমান্ত মন্ডল(১৬) এর সরকারি বরাদ্দকৃত ৩ শতক জমিসহ বাড়িঘর দখল করতে মরিয়া হয়ে পড়েছে খেজুরডাঙ্গা গ্রামের মৃত আলহাজ্ব তকুর সরদারের ছেলে ভূমিদস্যু শওকত আলী(৫৫)। এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধীর মা অঞ্জনা মন্ডল সরকারের দানকৃত ওই জমি রক্ষা করতে বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বরং শওকত থানা পুলিশ সহ বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে উপর্যুপুরি হুমকি ধামকি দিচ্ছেন এবং একেরপর এক থানায় অভিযোগ দিয়ে প্রতিবন্ধী পরিবারকে হয়রানি করছেন।
প্রতিবন্ধীর মা সাধুমন্ডলের স্ত্রী অঞ্জনা মন্ডল বলেন, ৩০ বছর ধরে আমরা এখানে বসবাস করছি। আমার ছেলে প্রতিবন্ধী। ছেলে প্রতিবন্ধী হওয়ায় জেলা প্রশাসক বিনেরপোতা এলাকার রাস্তার পাশের সরকারি ৩ শতক জমি দান দান করেন। ওই তিন শতক জমি দখল করতে শওকত আলী আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করছেন। আমাদেরকে ওই জমি থেকে তাড়িয়ে দিতে তিনি আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, ইটভাটা, মাছের আড়ৎ, সরকারি জমি দখল থেকে শুরু করে এমন কোন আকাম নেই শওকত করেন না। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে তিনি প্রতিবন্ধী সীমান্তের তিন শতক জমি দখল করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। একের পর এক রাস্তার ধারের সরকারি জমি দখল করে তিনি পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। জমি সরকারের কিন্তু তিনি বলে বেড়াচ্ছেন এসকল জমি আমার কবলাকৃত। প্রতিবন্ধীর সহায়তার জন্যে সরকার ওই জমি দিয়েছেন কিন্তু শওকতের মতো ভূমি খেকোদের কারনে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপার জানতে চাইলে শওকত আলী বলেন, আমি কারো জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে পড়িনি। ওই জমি আমার। বর্তমানে ওই জমি খাস হয়ে গেলেও ওই জমির এসএ রেকর্ডের মালিক আমি। সেজন্য ওই জমি আমার প্রাপ্য। আমাকে ছাড়া ওই জমি সরকার কাউকে দিতে পারে না।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ শরীফুল আলম বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত ব্যাপার পুলিশের এখতিয়ারের বাইরে। তবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশ কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। ওই জমির ব্যাপারে উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে, উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে আশা করছি উভয়ের সম্মতিতে একটা সিদ্ধান্তে পৌছানো যাবে।