বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পাটকেলঘাটা বাসীর প্রাণের দাবী

পাটকেলঘাটা খাদ্যগুদাম থেকে কেশবলাল মহা শ্মশানঘাটের পাশ দিয়ে কপোতাক্ষ নীলিমা ইকো পার্ক অভিমূখে পাটকেলঘাটা বাজার পর্যন্ত বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও অবৈধ দখল স্থাপনা উচ্ছেদ এলাকাবাসীর প্রাণের দাবীতে পরিনত হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কপোতাক্ষ নীলিমা ইকো পার্কের সৌন্দর্যবৃদ্ধি, পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় করণে বেশকিছু প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব লিখিত আকারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া হয়েছে ।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্ক সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের এপার ওপার একটি ঝুলন্ত ব্রীজ নির্মাণ, কপোতাক্ষ নদের ওপার অংশের অতিরিক্ত জমি পার্কের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া এবং পার্কের অর্ন্তভুক্তি করা, পার্ক সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের ধার দিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ , পাটকেলঘাটা খাদ্যগুদাম হতে নীলিমা ইকোপার্ক পর্যন্ত বাইপাস সড়ক নির্মাণ, পার্কের সুবিধামত স্থানে একটি গোল চত্বর স্থাপন, নীলিমা ইকোপার্কের নিরাপত্তার স্বার্থে কাটা তারের বেড়া, বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের জন্য গেষ্ট হাউজ তৈরী করা, সরকারী সার্ভেয়ার দ্বারা জরিপের মাধ্যমে কপোতাক্ষ নদের সীমানা নির্ধারণ ও নীলিমা ইকো পার্কের জায়গা প্রসারিত করা, পার্ক সংলগ্ন অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গায় মাটি ভরাট করা, কপোতাক্ষ নদের ওপার অংশে ট্রীপ বাগান তৈরী করা।

বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কপোতাক্ষের তীরে গড়ে ওঠা সৌন্দর্যমন্ডিত নীলিমা ইকোপার্কটি এক নজর দেখতে হাজার হাজার পর্যটক ও সৌন্দর্য পিপাসুরা ছুটে আসছে। নীলিমা ইকোপার্কের প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে অবৈধ ভাবে ভুমি দস্যুদের দখল। ২০১৭ সালের ১লা অক্টোবর ততকালীন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহীউদ্দীন জাক-জমকপূর্ণ ভাবে উদ্বোধন করেন এই পার্কটি। ইতোমধ্যে গত ১৯ জুলাই নীলিমা ইকো পার্কের মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন পার্কের কপোতাক্ষ পাড়ের অবৈধ দখলদারদের দ্রুততার সাথে তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বললেও সে ধরনের কাজের কোন অগ্রগতি এখনো চোখে পড়েনি। অপর দিকে নীলিমা ইকো পার্ক থেকে পাটকেলঘাটা সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার দিকে যেতে চাইনা পর্যটক, ভ্রমণ পিপাসু, বিনোদন প্রেমী, সাধারণ জনগন। কারণ দূর্গন্ধ, যত্রতত্র মল মুত্র ত্যাগ, সাথে সাথে রাস্তার ধারে বিভিন্ন ধরণের দখলদারিত্ব চোখে পড়ার মত। ভূমি দস্যুরা দখল করতে করতে পার্কের রাস্তা পর্যন্ত দখল করতে শুরু করেছে। জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসনিক ভাবে পার্কটির দখলকৃত জায়গা উন্মুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত নদের উপর ঝুলন্ত ব্রীজ স্থাপন করে দু’পাড়ের মানুষের যোগাযোগ স্থাপন করে নদীর ওপাড়ে সবুজ বনায়ন গড়ে তুললে পার্কটি ভ্রমন পিয়াসুদের নিকট আরো আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে বলে এলাকাবাসি ধারনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অনিমেষ বিশ্বাস জানান, আমাদের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনার তালিকা জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়েছি আদেশ হলে যেকোন সময় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)