পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত শতবর্ষী শাশুড়ির শয্যাপাশে এমপি জগলুল
গত ৬ জুলাই শুক্রবার শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের বড়কুপট গ্রামে শতবর্ষী বৃদ্ধা ফুলবাসী পুত্রবধূ আশারানী কর্তৃক নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। গ্রামবাসীর তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় পুত্রবধু কর্তৃক কারণে অকারণে দীর্ঘদিন নিয়মিত নির্যাতনের শিকার হন শতবর্ষী শাশুড়ি ফুলবাসী। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে নাম বলতে অনিচ্ছুক একজন প্রতিবেশী সেই নির্যাতনের ঘটনা গোপনে ক্যামেরা বন্ধী করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। দশমাস দশদিন গর্ভধারনকারী মাকে এমন নিষ্ঠুর নির্যাতন দেখে ফেসবুক চালনাকারীরা দ্রুত প্রতিকার ও বিচার চেয়ে সেয়ারের মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। বিষয়টি দ্রুত ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। এদিকে ঘটনার দিন ফেসবুকে এমন নেক্কারজনক ঘটনা দেখে সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার শ্যামনগর থানার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মান্নান আলীকে দ্রুত ঐ পুত্রবধু ও ছেলেকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার হন বৃদ্ধার পুত্র প্রভাস মণ্ডল ও পুত্রবধু আশারানী। সংসদ অধিবেশন চলমান থাকায় তাৎক্ষনিকভাবে এমন ঘটনায় সময় না আসতে পারায় আজ ১২ জুলাই রোজ-বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ফিরে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার। তিনি নির্যাতিত ঐ শতবর্ষী মাকে পরম স্নেহে পাশে বসিয়ে শারিরীক খোজ খবর নিয়ে মিষ্টি খাওয়ান এবং নতুন পোষাক দেন। পরে মাকে নির্যাতনকারী মুছলিকা দিয়ে থানা থেকে ফিরে আসা পুত্রবধু ও পুত্রকে সংসদ সদস্য বলেন-“এধরনের নেক্কারজনক ঘটনা আর যদি দ্বিতীয়বার শুনি তাহলে তোমাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ থেকে তোমারা তোমাদের মাতাকে স্বযতেœ রাখবে”। এসময় উপস্থিত এলাকাবাসী,সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সংসদ সদস্য বলেন-” কোন প্রবীণ যেন আজ থেকে এলাকায় কোন প্রকার নির্যাতিত না হয় সেদিকে সবাই বিশেষভাবে খেয়াল রাখবেন এবং প্রবীণদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখাবেন”। সংসদ সদস্য আরো বলেন-” আমি পিতা মাতা ও প্রবীণের প্রতি খারাপ ব্যবহারকারীকে কোনভাবে ছাড় দেবনা, সে যেই হোকনা কেন”।