পাটকেলঘাটায় শিক্ষক স.ম আতিয়ার রহমান ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ায় ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল

পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ কলেজের পৌরনীতি বিষয়ক প্রভাষক স.ম আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ২য় বর্ষের কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্ত ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীরা  শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বহিষ্কারের দাবীতে রবিবার বেলা ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল করেছে।

সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই বৃহস্পতিবার পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর পিতা আছাদুল ইসলাম কলেজ গভার্ণিংবডি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তার মেয়ে ২য় বর্ষের ছাত্রীকে কলেজের পৌরনীতি বিষয়ক প্রভাষক স,ম আতিয়ার রহমান বিভিন্ন সময় তাকে উত্যক্ত করে আসছে। অভিযোগের আগের দিনও কলেজে ক্লাসরুমে শিক্ষক আতিয়ার রহমান  ছাত্রীকে মানসিক ভাবে নির্যাতনমূলক আচরণ করতে থাকে, ছাত্রী কোন উপায়ন্ত না পেয়ে তৎক্ষনাৎ ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে আসে। ছাত্রীটি বাড়িতে ফিরে পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি খুলে বললে পিতা আছাদুল ইসলাম কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর তার মেয়েকে প্রভাষক স ম আতিয়ার কর্তৃক উত্যক্ত করার লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পত্রটি গ্রহণ করে শনিবার সকালে অধ্যক্ষ কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে জরুরী সভা আয়োজন করে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য কাজী তবিবর রহমানকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।  তদন্ত কমিটি দুপুরে অভিযোগকারী ছাত্রীর বাড়ীতে গিয়ে পরিবার ও ছাত্রীর কাছ থেকে আনিত অভিযোগের সত্যতা পান। রবিবার সকালে কলেজের শিক্ষক আতিয়ার কর্তৃক ২য় বর্ষের ছাত্রী উত্যক্তের ঘটনা জানাজানি হলে কলেজের সকল শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী ও ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশ করে।

এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ২য় বর্ষের ছাত্রীর পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ৫সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করে ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে আলাপ আলোচনা করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।

এদিকে তদন্ত কমিটির আহবায়ক কাজী তবিবুর রহমান জানান, কলেজ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক আতিয়ার রহমানের নামে অভিযোগটি তদন্ত করে তার সম্পূর্ণ সত্যতা পাওয়া গেছে। বেসরকারি কলেজ বিধি অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে উত্যক্তের শিকার ছাত্রী জানান, পৌরণীতির স্যার স,ম আতিয়ার রহমান আমাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো স্যারের এধরনের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় আমাকে মানসিকভাবে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে থাকে, কোন উপায় না পেয়ে আমি পরিবারের মাধ্যমে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করি। এছাড়া  শিক্ষকের এ ধরনের আচরণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করি।

অভিযুক্ত কলেজ প্রভাষক আতিয়ার রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা, আমার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলছে, কলেজে পাওনা ৩ লক্ষ টাকা ও স্কেল পাওনা না দেয়ার জন্য একটি মহল আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়ষন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)