পাটকেলঘাটায় মন্দিরের সম্পত্তি অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করছে রামকৃষ্ণ দে মনা
পাটকেলঘাটার কুমিরা ইউনিয়নের রামকৃষ্ণ দে মনা’র বিরুদ্ধে আনন্দময়ী আশ্রম মন্দিরের সম্পত্তি অবৈধ কৌশল ও জাল- জালিয়াতির মাধ্যমে ভোগ করিবার ঘৃণ্য লালসার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে আনন্দময়ী আশ্রয় কমিটি ও মন্দিরের সদস্যসহ ভক্তবৃন্দ। বুধবার বিকাল ৫টায় জনর্কীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নিবাস সরকার লিখিত বক্তব্যে বলেন, কুমিরা গ্রামের মৃত বিশ্বেশর দে (বিশ্বনাথ)’র ছেলে রামকৃষ্ণ দে মনা মন্দিরের ৬ শতক জমির মধ্যে ৩ শতক জমি তার মায়ের বলিয়া দাবী করে যার ডিএস খতিয়ান নং-১২৬০, দাগ নং-১৫২১। জমিটি কোন কালেই তার মায়ের অথ্যাৎ কল্যাণী দে’র ছিলো না। মনা দাবী করেন কল্যাণী দে আশ্রমের ৬ শতক জমির ৩ শতক জমি রামকৃষ্ণ দে মনার নামে দানপত্র রেজিস্ট্রি করেছে, এটা মিথ্যা এধরনের কাজের কোন প্রশ্নই আসে না। জমিটি সর্বজন স্বীকৃত কুমিরা আনন্দময়ী আশ্রম পূজা মণ্ডপের। তাছাড়া রামকৃষ্ণ দে মনা কুমিরার সার্বজনীন বাজারখোলা কালিমন্দিরের দায়িত্বরত থাকাবস্থায় উক্ত মন্দিরের অর্থ-সম্পাদ আত্মসাৎ করে। এধরনের অপকর্ম করবার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম যেমন পাগল, জ্যোতিষী, তান্ত্রিক রূপ ধারণ করে।
এ ছাড়া মহিলাদের উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে অহরহ। মনা থানায় বিভিন্ন নীরিহ ও ভদ্রলোকের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করে, মানুষের মধ্যে বিতৃষ্ণা ও ভয়ের সৃষ্টি করছে, মন্দির কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক বা অন্য কেহ তার কোন সম্পত্তি দখল করেনি। আমরা সংবাদ সংবাদের মাধ্যমে সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, পূজা উদযাপন পরিষদ ও সুধী সমাজের কাছে সমাধান ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর ইসলাম, আনন্দময়ী আশ্রয়ের সভাপতি অসীত ভট্রাচায্য, স্বপন কুমার ব্যানার্জী, শিক্ষক সুকুমার চ্যাটার্জী, আশিষ বসু, বাবু মুকুন্দ ঘোষ আনন্দময়ী আশ্রম পূজা কমিটিম লাবন্য রায়, সনৎ ভট্রাচায্য, কল্যাণ বসু, পুলোক দে, শিক্ষক নব কুমার পাইন, শংকর দে সহ কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ স্থানীয় গর্ণমান্যব্যক্তিবর্গ।