পাটকেলঘাটায় দোকান ঘরে শার্টার লাগাতে না দেওয়ায় ভাই-ভাইপোদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

পাটেকলঘাটা প্রতিনিধি :

পাটকেলঘাটা থানার সরুলিয়া ইউনিয়নের পারকুমিরা গ্রামের মৃত উপন্দ্রেনাথ পালের পুত্র সুভাষ চন্দ্র পাল পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে নিজের নির্মিত দোকান ঘরের শার্টার লাগাতে পারছেনা তারই আপন ভাই-ভাইপোর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে । অসহায় হয়ে রিপোর্টার্স ক্লাব পাটকেলঘাটায় শুক্রবার বিকাল ৫টায় সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সুভাষ পাল লিখিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জে এল- ৪৫, পুটিয়াখালী মৌজার ১৬৩৪ খতিয়ানের ১৫৬৯ দাগের ৬ শতক বর্তমান জরিপের ৯২৯ নং খতিয়ানে জমি রেকর্ড সম্পন্ন হয়। জমির উপর কালী বাড়ী হরিসভা সংলগ্ন ২২ বছর ধরে ৬ দরজা বিশিষ্ট দু’টা দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আসছি। সে সকল দোকানে ২০০২ সালে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করি, যার হিসাব নং- ৪০৯১৮০২-৭৬১৫০, মিটার নং-৪২০০৭৩, বই নং-০৪-১৫০-১০১২। দীর্ঘদিন দোকান ঘর ভাড়া দিয়ে আর কিছু জমি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি। বর্তমানে দোকান ঘরের কাঠের দরজা নষ্ট হওয়ার কারণে শাটারের দরজা লাগানোর জন্য গত ১৬ মে স্থানীয় হোসেন মিস্ত্রীর মাধ্যমে পশ্চিমপাশে দোকান ঘরের কাজ শুরু করি। এমত অবস্থায় আমার ভাই সূর্যকান্ত পাল, তার ছেলে সঞ্জয় পাল, জয়পাল, আরেক ভাই অজিত পাল তার ছেলে প্রবীর পাল ও ছোট ভাই বলয় পালসহ আরো ১০/১২জন আমার দোকানের শাটারের খুঁটিসহ সকল সরঞ্জম সন্ত্রাসী কায়দায় নিয়ে যায়। এসময় দোকান ঘরের কাঠের দরজা গুলি ভেঙ্গে দিয়ে যায়। বলতে থাকে দোকান আমাদের, অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করে আছে। তাই আমরা আমাদের জমি নিজেদের দখলে নিয়ে নিবো বলে হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে। পরে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে পুনরায় দোকানে আসলে এ এস আই রুহুল আমিন কে আমার ভাই ও ভাইপোরা অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে, এমনকি হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তিতে পুলিশের সহায়তায় আমার দোকানের শার্টার ও খুঁটি গুলো তারা ফেরত দিয়েছে। কিন্তু কোন ভাবে লাগাতে সাহস পাচ্ছি না, কোন মিস্ত্রি লাগাতে গেলে সংঘবদ্ধভাবে এসে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়টি আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি আমার কাগজপত্র দেখে আমার পক্ষেই রায় দেয়। ভাই ভাইপোদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বর্তমানে আমি অতিষ্ঠ। এর আগে তাদের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটনার জন্য ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি অব্যহত রাখার কারণে গত ১৭/৪/১৮ ইং তাং পাটকেলঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। যার নং-৪৬৪। এদিকে দোকানে থাকা ভাড়াটিয়া বড়বিলা গ্রামের আকসেদ গাজীর পুত্র হান্নান গাজী দোকানদারী করতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে আছে। এদিকে আমিও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভয়ে কিছু করতে পারছি না যার কারণে আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এদিকে জমির সুরক্ষা ও নিজের সন্ত্রাসী ভাই ভাইপোদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ম্যাজিঃ আদালত সাতক্ষীরায় ১৪৫ ফৌঃ কাঃ বিঃ ধারায় মামলা করি। এখন আমি আমার নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি তে নির্ভয়ে কার্যক্রম চালাতে পারি সেজন্য বর্তমানে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে আইনের উপর শ্রদ্ধাশীল হয়ে জাতীর বিবেক, সমাজের দর্পণ সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আমি সুষ্ঠ বিচার আশা করছি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)