পাটকেলঘাটার পল্লীবিদ্যুতের সামনে জমজমাট বালুর ব্যবসা

পাটকেলঘাটার পল্লীবিদ্যুতের সামনে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের অনেকটা জায়গা জুড়ে দীর্ঘদিন যাবত বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক ব্যক্তি। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে প্রতিনিয়ত প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনা ক্রমাগত ঘটেই চলেছে। তার মধ্যে বালুর ব্যবসা যোগ হওয়ায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল। কেননা প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী প্রাইমারীর কোমলমতি শিক্ষার্থীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তাদেরকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন না এসকল শিশুদের পিতামাতাগণ।
সরেজমিনে গতকাল পাটকেলঘাটা পল্লীবিদ্যুতের সম্মুখে দেখা যায় হরহামেশাই অবৈধ বালুর ব্যবসার চিত্র। মহাসড়কের অনেকটা অংশজুড়ে এ ব্যবসা দীর্ঘদিনের জমজমাট তা বলার অবকাশ রাখে না। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পাটকেলঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাটকেলঘাটা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পল্লীবিদ্যুতের প্রধান কার্যালয় সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। সরকারি রাস্তার উপর বালু রেখে ব্যবসা তার উপর মাল লোড আনলোডের কাজ চলাকালে জ্যামের চিত্র যেন কম নয়। সকাল বিকাল এই রাস্তার পাশ দিয়ে কোমলমতি শিশুরা চলাচল করেন। অসাবধানবশত কখন কোন প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তা আমাদের সকলের অজানা। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ একাধিকার অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি। সামাজিক গণমাধ্যম হিসেবে পরিচিত ফেইসবুকে প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ কোমলমতি শিশুদের জীবনের কথা মাথায় রেখে এ অবৈধ বালুর ব্যবসা বন্ধ করার জোর দাবি জানালেও কোনও প্রতিকার পায়নি। বরং ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত করেছেন অতিরিক্ত স্থান জুড়ে। অদৃশ্য কোন শক্তিতে ব্যবসার মালিক তা পরিচালনা করছেন তা সকলের অজানা। এ বিষয়ে পাটকেলঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অলিউল ইসলাম বলেন, বালুর ব্যবসা এমনই একটি স্থানে তারা দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা করছেন যা আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন চরম ঝুঁকিপূর্ণ। একটি ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়ার পর পিতামাতার পাশাপাশি আমাদেরও তাদের জীবনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে যায়। সে দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবসাটি সরিয়ে অন্যত্র স্থানে করলে আমরা কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারি। ব্যবসাটি কে পরিচালনা করছেন এমন সদুত্তর দিতে না পারলেও একাধিক সচেতন মহল জানান, ২/৩ বছর যাবত দেদারছে এ ব্যবসা পরিচালনা করলেও প্রতিকার পাচ্ছি না। কোন খুটির জোরে তিনি এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তা আমরা অবগত নয়। অতিদ্রুত বালুর ব্যবসার স্থানটি সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাটকেলঘাটার সচেতন মহল।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)