পাটকেলঘাটার অধিকাংশ হোটেল গুলোতে বিক্রি হচ্ছে পচা-বাসী খাবার

সাতক্ষীরা জেলার সব থেকে বড় বাণিজ্য কেন্দ্র পাটকেলঘাটা বাজারের হোটেল রেস্তরাগুলোতে পচা বাসী খাবার দেদারসে বিক্রি হচ্ছে দেখার কি কেউ নেই ? স্থানীয় প্রশাসন জানলেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। অধিকাংশ হোটেলে খাওয়ানো হচ্ছে অপরিষ্কার ভেজাল ও পচা-বাসী খাবার এছাড়া হোটেলে বসে খাবার খাওয়ার নেই কোন পরিবেশ। পাটকেলঘাটা বাজার সহ আশপাশের বিভিন্ন সড়কের ধুলাবালি, মাছি, মশা খাবার দুষিত, রান্না ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পচা বাসী নিন্ম মানের মসলা ব্যবহার হচ্ছে। হোটেল রেস্তরার পেছনে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেই। দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে রান্না ঘরে এসব খাবার রান্না ও পরিবেশনের ব্যবস্থা করলেও দেখার কেউ নেই। আবার নেই কোন খাবার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা। জমজমাট ব্যবসা পেতে বসলেও গ্রাহক সেবার মান একে বারেই নিন্ম মানের। প্রতিদিন অত্র এলাকার ছাত্র-ছাত্রী চাকরীবিদসহ অসংখ্য লোকসমাগম হয়। আর এ সুযোগে হোটেলগুলো তে ভেজাল ও পচা-বাসী খাবার বিক্রি হচ্ছে অবাধে। আর সে সুযোগে হোটেলের মালিকরা হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। বর্তমানে ভেজাল বিরোধী অভিযান ঝিমিয়ে পড়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায় হোটেল গুলোর পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশ, পচা-বাসী, ভেজাল খাবার ক্রেতাদের মাঝে পরিবেশন ও বিক্রি করা হচ্ছে। রান্না করা খাবার খোলা অবস্থায় থাকায় মশা-মাছি, ধুলা-বালি পড়ছে অবাধে। দুর্গন্ধ, ময়লা পরিবেশ, রান্না ঘরে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব। হোটেল গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অধিকাংশ হোটেলের ফুড প্রসেসিং লাইসেন্স নেই। খাবার হোটেল গুলোর বাইরের অংশ ফিটফাট হলেও ভিতরে সদর ঘাট অথ্যাৎ ভেতরে যেখানে খাবার তৈরি করা হয় সেখানে অত্যন্ত নোংরা ও আবর্জনাময় । ভেজাল মিষ্টি তৈরিতে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে স্যাকারিন আর ক্ষতিকারক রং । এমনকি মিষ্টি তৈরি প্রধান উপকরণ ছানাও তৈরি হচ্ছে ভেজাল প্রক্রিয়ায়। এছাড়াও ৪/৫ দিনের পোড়া তেল দিয়ে ভাজা হচ্ছে সিঙ্গারা, চপ-পুরি, ছোলা, সামোছা, পেয়াজীসহ নানা প্রকার খাবার । এসব খাবার আবার অনেক সময় সুযোগ বুঝে পচা বাসী অবস্থায় বিক্রি করা হয়ে থাকে। খাবারে ভেজাল মেশানো ও পচাবাসী খাবার এবং উন্মুক্ত স্থানে খাবার রেখে বিক্রি করায় পাটকেলঘাটা বাজারের কয়েকটি হোটেলে জরিমানা করলেও তারা সেদিকে তোয়াক্কা না করে নির্বিঘেœ ভেজাল খাবার বিক্রি করে চলেছে। অন্য দিকে বহুদিন যাবত ভ্রামমান আদালতের তদারকি না থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এসব হোটেল মালিকেরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)