নৌকায় চড়তেই হবে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, নৌকা ঠেকাতে হবে কেন? শ্রাবণ শেষে বন্যা হবে অাপনাদের নৌকায় চড়তেই হবে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়েছিল বলেই স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়েছিল বলেই অাজ দেশে এতো উন্নয়ন। শেখ হাসিনা বলেন, মৃত্যুকে ভয় পাই না। যতক্ষণ বেঁচে অাছি ততক্ষণ মানুষের জন্য কাজ করে যাব। দেশের ও মানুষের উন্নয়নে বাবা বেহেস্ত থেকে দেখে যেন শান্তি পায়।

শনিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন, মহাকাশে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠানো, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন ও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করা, চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া এবং দেশের উন্নয়ন ও অর্জনে অনন্য সফলতার জন্য এ গণসংবর্ধণা দেয়া হয়।

এর অাগে দুপুর ১টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। এর অাগে বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে অাসেন।

পবিত্র কোরঅান, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠের মাধমে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অাওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। শুরুতে অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন অাওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী এবং ২১ সালে সুবর্ণজয়ন্তিতে বাংলাদেশে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পালন করবো। এ সময় বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম শহরের মতো নাগরিক সুযোগ সুবিধা পাবে। তারা উন্নত জীবন ধারণ করবেন। এই লক্ষ্য নিয়ে অামরা কাজ করে যাচ্ছি। এ দেশকে অাগামীতে কেমন করে উন্নত করবো সে পরিকল্পনা অামরা করছি। দেশকে নিয়ে জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বো অামরা।

তিনি বলেন, অাওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশের মানুষ কিছু পায়। মানুষের অস্তিত্ব টিকে থাকে এটা অামরা বারবার প্রমাণ করেছি। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর তারা মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। হাড্ডিসার, কঙ্কালসার দেহ দেখিয়ে বাইরে থেকে টাকা এনে তারা তারা সে টাকা লুটপাট করেছে, বিদেশে পাঠিয়েছে। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়া তাদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যেন না হয় সে জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, অামরা ঘোষণা দিয়েছিলাম যে ক্ষমতায় যেতে পারলে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো। সে কাজ করতে অামরা সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)