দেবহাটায় শিক্ষকদের জিম্মি করে ফের নিম্নমানের গাইড চালানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত চান্দুসহ অসাধু ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ
জেলা দেবহাটাতে মাধ্যমিক পর্যায়ের অর্থাৎ ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত হাজার হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিতে ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য মানসম্মত সহায়ক বই পাঠ্যের সদিচ্ছায় সাধ্যমত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শিক্ষা খাতে সরকারের যাবতীয় উন্নয়ন জনসম্মুখে ধূলিসাৎ করতে এবং নামসর্বস্ব অস্তিত্বহীন কোম্পানি থেকে মোটা টাকা ঘুষ নিয়ে এবারও উপজেলাতে শিক্ষকদের জিম্মি করে নিম্নমানের সহায়ক বই পাঠ্যের অপচেষ্টাতে লিপ্ত হয়েছে পুস্তক সমিতির ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ সভাপতি সখিপুরের তাহের হোসেন চান্দু,  সাধারণ সম্পাদক রুস্তম, সখিপুর থেকে বিতাড়িত বই দোকানদার আজিজুল হক আরিফ, কুলিয়ার অন্যতম জামায়ত নেতা ও বই দোকানদার তাইজুলসহ চিহ্নিত চক্রের অসাধু ব্যবসায়ীরা।
এত করে প্রত্যাশিত ভালো ফলাফল অর্জন তো দুরেই থাক, মানহীন শিক্ষা ব্যবস্থায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ ধ্বংসের আশংকায় শঙ্কিত ও হতাশা গ্রন্থ হয়ে পড়েছে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক থেকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের অভিযোগ বিগত বছরেও দেবহাটার শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত সহায়ক বই নির্ধারণ করলেও, নির্ধারিত বই দেবহাটার কোন পুস্তক বিপণীতে বিক্রি করা হবে না বলে হুমকি দিয়ে শিক্ষকদের জিম্মি করে নেয় উপজেলা পুস্তক সমিতির ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ সভাপতি সখিপুরের তাহের হোসেন চান্দু,  সাধারণ সম্পাদক রুস্তম, সখিপুর থেকে বিতাড়িত বই দোকানদার আজিজুল হক আরিফ, কুলিয়ার অন্যতম জামায়ত নেতা ও বই দোকানদার তাইজুলসহ এ চিহ্নিত চক্রের অসাধু ব্যবসায়ীরা।
একপর্যায়ে তারা উপজেলার শিক্ষকদের জিম্মি করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এ চক্রের মনোনীত অতি নিম্নমানের সহায়ক বই প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্য করাতে শিক্ষক সমিতিকে বাধ্য করে। পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ সহ জেলা ব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের এ অপকর্মের দায় ও সাজা দুটোই গিয়ে পড়ে শিক্ষকদের উপর। কিন্তু প্রকৃত অপরাধী এসব ব্যবসায়ীদের শাস্তি না হওয়ায় আবারও তারা একই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের নকশায় বর্তমানে মেতে উঠেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপসহ যাতে করে শিক্ষকরা মানসম্মত সহায়ক বই জিম্মি না হয়েই পাঠ্য করতে পারে সে বিষয়ে সহযোগিতাও চায় ভুক্তভোগী শিক্ষকসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এব্যাপারে দেবহাটা উপজেলার মাধ্যমিক কর্মকর্তা আবদুল হাই জানান, এই ধরনের অভিযোগ আমরা পাইনি । যদি নিন্মমানের সহায়ক পাঠ্য পুস্তুক কনো প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্তা  গ্রহণ করা হবে ।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)