দেবহাটায় যুবককে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনা তিনদিন অতিবাহিত

দেবহাটায় প্রতারক প্রেমিকার ফাঁদে পড়ে যুবক অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনা তিনদিন অতিবাহিত হয়েছে। ঘটনার পর নির্যাতিত মনিরুলের ভাই দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অপহৃত যুবক মনিরুলকে ১০ঘন্টা পর চোখ বাধা অবস্থায় কুলিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় দৈনিক সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছে সিন্ডিগেট চক্রের মূল হোতা সাতক্ষীরা নাজমুল স্মরণীস্থ জেডি জুয়েলার্সের মালিক পিন্টু, শাখরা বাজারের মারিয়া জুয়েলার্সের মালিক আবু হাসান (হৃদয়) ও পারুলিয়ার শাহাজুল ইসলামের কন্যা স্বপ্না খাতুন এবং তার কথিত দুই বোন। এদিকে মনিরুলের ছিনতাই হওয়া পালসার মোটর সাইকেলটি আশাশুনি থানা থেকে উদ্ধার করা গেলেও তার কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা এখনো পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লক্ষীদাড়ী গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর পুত্র মনিরুল ইসলাম (২৫) এক মাস পূর্বে দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের শাহাজুল ইসলাম খোকনের কন্যা স্বপ্না খাতুন (২০) এর মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে গত শুক্রবার মনিরুল ও স্বপ্না দেবহাটার বিভিন্ন স্থানে প্রাইভেট কারে ঘোরাঘুরি করে। ঐ সময় স্বপ্নার সাথে আরো দুইজন মহিলা ছিল। তারা স্বপ্নার সাথে ছিল বড় আপা পরিচয়ে। সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে পরবর্তীতে আবারো বেড়ানোর সময় নির্ধারণ করা হয় গত সোমবার। যথাসময় মনিরুল স্বপ্নার সাথে দেখা করার জন্য চলে আসে পারুলিয়াতে। স্বপ্না মোবাইল ফোনে মনিরুলকে বদরতলা টু ব্যাংদাহ সড়কে দেখা করার জন্য বললে মনিরুল বিকাল ৪টার দিকে দেখা করতে গেলে কথা বলাবলির এক পর্যায়ে স্বপ্না কোন একজনের কাছে ফোন করলে, কিছুক্ষণ পর দ্রুত গতিতে একটি প্রাইভেট কার মনিরুলের পাশে এসে দাড়ায়। দাড়ানো মাত্রই ৪/৫ জন যুবক প্রাইভেট থেকে নেমে মনিরুলকে জোর পূর্বক প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যায় এবং তার ব্যবহৃত পালসার মোটর সাইকেলটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ সময় অপহরণ কারীরা মনিরুলের হাত, পা ও চোঁখ বেধে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে নির্যাতন করে প্লাস দিয়ে পায়ের নখ উপড়ে ফেলে। তাকে অচেতন ও চোঁখ বাধা অবস্থায় রাত দুইটার দিকে কুলিয়া সিদ্ধেশ্বরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ঐ রাতে পুলিশ আহত অবস্থায় মনিরুলকে উদ্ধার করে। কিন্তু ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও অপহরণ কারীদের কাউকে আটক করতে পারিনি পুলিশ। এদিকে এলাকার সচেতন মহলের দাবি স্বপ্না, হাসান ও পিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য। তাই ভুক্তভোগী পরিবারটি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানিয়েছেন। এবিষয়ে দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার ইয়ামিন আলী জানান, তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। অচিরেই আইনের আওতায় আনা হবে জড়িতদের।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)