দেবহাটার রত্না হিজরার গোপন রহস্য উন্মোচন
পুরুষ থেকে হিজরা সেজে সেজে অবাধে চলানো চাঁদাবাজির মুল নায়ক রত্নার গোপন রহস্য ধীরে ধীরে উন্মোচন হতে চলেছে। অস্ত্রপচারের মাধ্যমে গোপনাঙ্গ কর্তন করে হিজরা সেজে চাঁদাবাজি করে লাখপতি হয়েছে রত্না। হিজরার সদস্যদের দিয়ে অর্থ আদায় করে তার একটি অংশ দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় জমি কিনে বিলাস বহুল বাড়ি তৈরি করে বেচাকেনা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে রত্না। দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর এলাকায় রত্না এলাকার অতি সুপরিচিত মুখ। কয়েক যুগ ধরে বিভিন্ন এলাকার সে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। মাত্র তিন সদস্যের হিজরা পরিবার আজ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি বৃহৎ বাহিনী তৈরি হয়েছে। বহিরাগত অল্পবয়সী এতিম অসহায় দারিদ্র শিশুদের এনে ভারতে থেকে অপারেশনের মাধ্যমে গোপনাঙ্গ কেটে হরমন ইনজেকশন পুশ করে নারীদেহ সৃষ্টি করে চালিয়ে আসছে হিজরা ব্যবসা। অধিকাংশ হিজরা গোপনে অনভিজ্ঞ ডাক্তারদ্বারা কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিমাত্রায় ঔষধ সেবন, হরমন ইনজেকশন বা গোপ-নাঙ্গে ইনফেকশন হওয়ার কারনে ইতিমধ্যে দুইটি অপমৃত্যু ঘটেছে। দুইজনই কালিগঞ্জ থানার নলতা গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষ দাশ ও সাইফুল ইসলাম যারা পুরুষ হিসাবে জন্ম গ্রহণ করে। এছাড়া নলতা এলাকায় কৃত্রিম উপায়ে সৃষ্টি আরও দুইজন পুরুষ তাজিবর রহমান, মোহাম্মদ আলি বর্তমানে তাদের স্বাভাবিক জীবন হতে হিজরা জীবন বেছে নিয়েছে। এমন কি দেশের বিভিন্ন জেলা হতে আনা অনেক কিশোর কে ভারতের হিজরা সিন্ডিকেটে বিক্রয় করে দেওয়া হয়েছে। পরিবারে একটি শিশু সন্তান জন্মনেওয়ার সাথে সাথে, সমার্থ থাকা না থাকা বড় বিষয় নয়, সে পরিবারের উপর চলতে থাকে জুলুম। এমন কি চাহিদামত টাকা না দিলে মহিলার গায়ের অলঙ্কার খুলে নেওয়া হয় এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হাট বাজার, দোকান, মাছের আড়ৎ-এ তার দৌরত্ব নিত্যদিনের ব্যপার। হিজরা সম্প্রদায়ের নিজেদের এলাকা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বকে কেন্দ্রকরে বেরিয়ে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী জানান থানায় এবিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।