তুরস্কে জাতীয় ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ
বহু নাটকীয়তার পর তুরস্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। আজ দেশটিতে একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মোট আটটি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
এ নির্বাচনে রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ও মুহাররেম ইনজেসহ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছয়জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ও কামাল আতাতুর্কের দল সিএইচপির প্রার্থী মুহাররেম ইনজে’র মধ্যে।
অন্য চার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন- ইয়ি পার্টির মেরাল আকসেনার, কুর্দিদের সমর্থিত এইচডিপি’র সালাদিন দেমিরতাশ, ভাতান পার্টির ডোগু পেরিনজেক এবং সাদাত পার্টির তেমেল কারামুল্লাউলু।
পার্লামেন্ট নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশ নিচ্ছে বড় দুই দল। এরদোয়ানের একেপি’র নেতৃত্বাধীন ‘জুমহুর ইত্তেফাক’ জোটে রয়েছে একে পার্টি, জাতীয়তাবাদী দল এমএইচপি ও ইসলামিক জাতীয়তাবাদী দল বুয়ুক বির্লিক পার্টি। অন্যদিকে কামাল আতাতুর্কের দল সিএইচপি’র নেতৃত্বে ‘মিল্লাতে ইত্তেফাক’ জোটে সিএইচপি, ইয়ি পার্টি, ইসলামপন্থী দল সাদাত পার্টি ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্কের প্রভাব কম নয়। এ কারণে এবারের নির্বাচনে ৩৪টি দেশের ৬০০-এর বেশি সাংবাদিক ভোটের খবর সংগ্রহ করবেন। এরইমধ্যে তারা তুরস্কে অবস্থান করছেন।
এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৬৩ লাখ ২২ হাজার ৬৩২। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোট চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আইডি কার্ড বা যে কোনো শনাক্তকরণ নথি দেখিয়ে ভোট দেবেন তুরস্কের জনগণ।
জনমত জরিপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের এগিয়ে থাকার আভাস পাওয়া গেছে। তবে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে তার দল ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি (একেপি)।
নির্বাচনী ইশতিহারে তুরস্ককে দুনিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানিকারক দেশে পরিণত করার অঙ্গীকার করেছে একেপি। শক্তিশালী পার্লামেন্ট, সরকার ও দেশ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে তুরস্কের অংশীদারিত্ব আরো বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, তুরস্ক শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণই হবে না, বরং নেতৃস্থানীয় রফতানিকারক দেশে পরিণত হবে।
২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। তবে গত এপ্রিলে এক বছরেরও বেশি সময় আগে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন এরদোয়ান। তার দল একেপি মূলত শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। আল জাজিরা বলছে, বিপরীতে কর্মসংস্থান, শিক্ষা-কৃষি ও ব্যাংক খাতের সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিএইচপি। তবে রোববারের নির্বাচনে কোনো পক্ষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণের দরকার হতে পারে।