তালায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

যৌতুকের টাকা না পেয়ে তালার জেয়ালা গ্রামে সাবিনা বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত সাবিনা বেগমকে তালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে মাদরাসা শিক্ষক স্বামী জিল্লুর রহমান যৌতুকের টাকা না পেয়ে তার স্ত্রী সাবিনা বেগমকে হত্যার চেষ্টা করেন।
উপজেলার জেয়ালা গ্রামের আব্দুল বারীক সরদার জানান, তাঁর মেয়ে সাবিনা বেগমের সাথে পাঁচ বছর পূর্বে কেশবপুর উপজেলার দোরমুটিয়া গ্রামের আজগর আলী সরদারের ছেলে জিল্লুর রহমানের বিয়ে হয়। বর্তমানে জিল্লুর রহমান ও সাবিনা বেগম দম্পতির জুলিয়া খাতুন (৩) নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। জামাই জিল্লুর রহমান কেশবপুরের কাসতা গহর আলী দাখিল মাদরাসায় গণিত বিভাগের শিক্ষকতা করেন। বিয়ের সময় জামাইকে মটরসাইকেল, আসবাবপত্র ও নগদ টাকাসহ প্রায় দশ লক্ষ টাকার মালামাল দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও যৌতুকের দাবিতে প্রতিনিয়ত সাবিনা বেগমকে মারপিট করতো সে। মেয়ে কয়েকবার বাড়িতে চলে আসলেও জামাই জিল্লুর রহমান নির্যাতন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে নিয়ে যায় এবং পরে ঘর নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু সেই টাকা দিতে না পারায় গত সোমবার সে সাবিনাকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে এবং ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সাবিনার মুখে বিষ ঢেলে দেয়। একপর্যায়ে সাবিনার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে জিল্লুর রহমান পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন সাবিনা বেগম জানান, যৌতুকের জন্য মারপিট করে আমার স্বামী আমাকে তালাক দেয়া হয়। এসময় আমি বাবার বাড়িতে চলে আসলে জিল্লুর রহমান আবারও আমাকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যৌতুকের দাবিতে ফের মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)