ডিবি পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায় হালিম

নিজস্ব প্রতিনিধি:
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ডিবি পুলিশ কর্তৃক দায়ের করা পৃথক মিথ্যে মামলা হতে অব্যাহতি পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার আকতার আলীর ছেলে ভোমরা স্থলবন্দরের ট্রান্সপোর্ট কর্মচারী আব্দুল হালিম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হালিম বলেন, গত ১৭ মার্চ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোমরা ইউপি’র ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর জালালুদ্দিনের সাথে আমার কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতিহাতি হয়। এঘটনার জের ধরে জালাল আমাকে ডিবি পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করান। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশ মিথ্যে মাদক মামলায় আমাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। দু’দিন পর জামিনে বেরিয়ে আসলে জালাল মেম্বর আমাকে আবারো মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
এরপর গত ২ এপ্রিল ভোমরার লহ্মীদাড়ী এলাকার রফিকুল ইসলামের বাড়িতে সাতক্ষীরা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক লাকীয়া খানমের নেতৃতে একটি দল অভিযান চালিয়ে ভাড়াটিয়া আবুল গাজী, তার বড় ছেলে আবুল হাসান ও তার ছোট ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আবু রায়হানকে ২৪ পিচ ফেনসিডিল ও গাজাসহ আটক করেন। এসময় জালাল মেম্বর মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মাদক দ্রব্য কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আবু রায়হানকে ছাড়িয়ে নেন। এঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মেম্বর জালাল উদ্দিনের কুপরামর্শে ওই মামলায় ২নং আসামী হিসাবে আমার নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। অথচ ২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমার মায়ের দেখাশোনা করছি। অথচ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কোন যাচাই-বাছাই না করেই ওই কুচক্রী জালাল মেম্বরের কথামত ওই মামলায় আমাকে আসামী করেছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এবিষয় কিছু না জানা স্বত্ত্বেও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কনস্টেবল সেলিম রেজা ওই দিন রায়হানকে দিয়ে ০১৭৫৯-৯৫৮২২৪ নম্বর দিয়ে ফোন করে আমার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। মামালার ভয়ে ৫হাজার টাকা আমি কনস্টেবল সেলিম রেজার কাছে পৌছে দেয়। তারপরও আমাকে ওই মামলার আসামি করেছে। জালাল মেম্বর একজন চিহ্নিত দালাল। সে এলাকার সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং পুলিশের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করছে। তার কথা মত মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ডিবি পুলিশ আমার পিছনে লেগে আছে।
সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ হাশেমী বলেন, সে একজন প্রফেশনাল মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত ব্যাপাওে একাধিক অিিভযোগ আছে। তাকে কোনভাবেই হয়রানি করা হচ্ছে না।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)