চাকুরি ফিরে পেতে চায় সাতক্ষীরা পি.এন. বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের আয়া বেবী ও শাহানারা
কোন কারণ ছাড়াই সাতক্ষীরা পি.এন. বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের দুইজন আয়াকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের স্ত্রী বেবী সুলতানা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমিসহ দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের রাজু আহমেদ এর স্ত্রী শাহানারা খাতুন ২০০৩ সালে সাতক্ষীরা সুন্দরবন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে আয়া হিসাবে যোগদান করি। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে স্কুলের নাম পরিবর্তন করে পি.এন. বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল নামকরণ করা হয়। সেই থেকে মাত্র ৫’শ টাকা বেতনে আমরা সুনামের সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিছুদিন আগে সাহা আব্দুল সাদি স্যার হঠাৎ স্কুল ক্যাম্পাসে এসে নোংরা দেখতে পান। ওই দিন বৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়া মাঠে নতুন মাটি দেয়ার কারণে স্কুল সাঠসহ ক্লাসের ঘর গুলো কাদামাটিতে নোংরা হয়ে গিয়েছিল। ছুটির পর আমরা যথা নিয়মে ক্যাম্পাস ও স্কুলের ক্লাসরুম গুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখি। এছাড়া আমরা সাধ্যমত স্কুল ক্যাম্পাস ও ক্লাস রুম পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি।
তিনি আরো বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে তহমিনা স্যার যোগদান করার পর থেকে আমাদেরকে আয়া থেকে ক্লিনার পদে কাজ করতে বলেন। স্যারের কথামত আমরা সেই কাজও করে আসছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ১৭ জুলাই ইউএনও তহমিনা স্যার আমাদের বলেন কাল থেকে তোমাদের আর স্কুলে আসার দরকার নেই। এই প্রতিষ্ঠানে তোমাদের আর চাকুরি নেই। তোমাদের পদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিনা কারণে বিনা নোটিশে চাকুরি থেকে আমাদের বাদ দেয়ায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। অথচ যারা মূলত ক্লিনার পদে কাজ করতো তার চাকুরি বহাল আছে। আয়া হয়েও কেন আমাদের চাকুরি গেল তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে গত ২১ জুলাই জেলা প্রশাসক মহাদয়ের সাথে দেখা করেও কোন ফল পায়নি। চাকুরি হারিয়ে আমরা অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। তিনি চাকুরি ফিরে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।