ঘুষের টাকাসহ আটক রেলের প্রকৌশলী

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অধীনস্থ এক কর্মচারীর কাছ থেকে ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগে এরফানুর রহমান (৫৫) নামের রেলওয়ের এক প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দলের কাছে এরফানুর ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন। এ ঘটনায় কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় (জিআরপি) মামলা করেছে দুদক। পরে এরফানুরকে রেল পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

এরফানুর রেলওয়ের কুলাউড়া সেকশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ)। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার নাওঘাট এলাকায়।

মামলার এজাহার, দুদক ও রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ের কুলাউড়া সেকশনের প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী (ওয়েম্যান) আবুল হোসেন শারীরিক অসুস্থতার জন্য গত মাসে এরফানুরের কাছে দুই মাসের ছুটি চান। এরফানুর দুই মাসের ছুটির জন্য ১২ হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। আবুল হোসেন জুন মাসে ১০ হাজার টাকা দেন এরফানুরকে। এরফানুর আরও দুই হাজার টাকা চান। পরে এ বিষয়ে আবুল হোসেন দুদকের শরণাপন্ন হন। গতকাল রাত নয়টার দিকে কুলাউড়া রেলস্টেশনের মাস্টারের কক্ষে আবুলের কাছ থেকে জুলাই মাসের ঘুষ হিসেবে ১০ হাজার টাকা নিয়ে পাঞ্জাবির পকেটে রাখেন এরফানুর। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে ছিল দুদকের হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল। তাৎক্ষণিকভাবে তারা ঘুষের টাকাসহ এরফানুরকে ধরে ফেলে।

দুদকের হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা বলেন, আবুল হোসেনের কাছে এরফানুরের ঘুষের টাকা চাওয়ার ব্যাপারে ফোনালাপের একাধিক রেকর্ড দুদকের কাছে রয়েছে।

এরফানুরকে রাতেই রেল পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। রাতেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার বাদী দুদকের হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নূরুল হুদা।

কুলাউড়া জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, এরফানুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মৌলভীবাজার আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)