গরুর খাটালের মেয়াদ শেষ তবুও সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে পার হলো ৩১ টি গরু

গরুর খাটালের মেয়াদ শেষ তবুও সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে বিজিবির সহায়তায় পার হয়েছে ৩১টি গরু। আবার সেই ৩১টি গরুর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে ১৬টি গরু আটক করেছ পুলিশ।

এ ব্যাপারে গরু মালিক কুশখালীর ইদ্রিস আলী বলেন, বিকালে কুশখালী খাটাল মালিক দেবব্রত রায়ের প্রতিনিধি কুতুব ভাই আমাকে বললো গরুর ভ্যাট হয়েছে, আজরাতে গরু আনতে হবে। এরপর আমি ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন হ্যা গরুর ভ্যাট হয়েছে। এরপর রাতে ক্যাম্প কমান্ডার নিজে উপস্থিত থেকে স্লিপ দিয়ে প্রত্যেকটা গরুর ও রাখালের ছবি তুলে গরু পার করিয়েছে। আমরা গরুর ভ্যাটও করিয়েছি কিন্তু হঠাৎ আজ পুলিশে আমার ২টাসহ ১৬ টি গরু আটক করেছে।

কুশখালী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল বলেন, ১৩ চৈত্র খাটালের মেয়াদ শেষ। খাটাল নবায়নের জন্য ৬ জন ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে খাটাল পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

হঠাৎ গতকাল রাতে কুশখালী ক্যাম্প কমান্ডার পাস দিয়ে, বাংলাদেশী রাখাল প্রবেশ করিয়ে নিজে ছয়ঘরিয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে ৩১ টি গরু পার করিয়েছে। আজ সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় ৩১টি গরুর মধ্যে ৯টি গরু কুশখালী এলাকা হতে সাতক্ষীরা থানা পুলিশ আটক করে আর ৭টি গরু কলারোয়া থানা পুলিশ আটক করে।

খাটাল মালিক দেবব্রত রায়ের প্রতিনিধি কুতুব উদ্দীন বলেন, সি ও স্যার ক্যাম্পে ম্যাসেজ দিয়েছে, ক্যাম্প কমান্ডারের উপস্থিতিতে আমরা গরু এনেছি।

কুশখালী ক্যাম্প কমান্ডার আবু হানিফ বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোন কথা বলতে পারবোনা। বিস্তারিত জানতে হলে আমার ব্যাটালিয়ান কমান্ডারের সাথে কথা বলেন।

সাতক্ষীরা সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুল সরদার বলেন, ঘোষিত রুট দিয়ে আসছে, বিজিবির অনুমোদন নিয়ে তারা গরু এনে ভ্যাট দিচ্ছে তাই আমরা ভ্যাট করে দিয়েছি। তবে এ সংক্রান্ত ব্যাপারে কোথাও আমাদের কোন নির্দেশনা আসেনি।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান এ ব্যাপারে বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গরু প্রবেশ করার তার বৈধ কাগজপত্র আছে কি না তা দেখার দায়িত্ব পুলিশের। আর সীমান্ত দিয়ে গরু প্রবেশ করানোর দায়িত্ব বিজিবির। আজ কিছু গরু আটক করা হয়েছে কাগজপত্র দেখার জন্য। কাগজপত্র যাচাই বাছাই করেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

৩৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সরকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের মোবাইলে কল করলে তিনি মোবাইলের কলটি রিসিভ করেননি ।

তবে খাটালের অনুমোদন এখনও ইউ এন অফিসে আসেনি জানিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন বলেন, এখন পর্যন্ত খাটাল অনুমোদনের কোন কাগজ আমার কাছে আসেনি।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনিন্দিতা রায় বলেন, এখন পর্যন্ত কুশখালী খাটাল অনুমোদনের কোন কাগজ মন্ত্রণালয় হতে আমাদের কাছে আসেনি। এখন কোন গরু আসলে সেটি অবৈধ। আমি জেনেছি দেবব্রত রায় বিজিবির অনুমতি নিয়ে গরু এনেছে। জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বিজিবি কীভাবে গরু আনার অনুমতি দিল তা আমাদের বোধগম্য না।নার কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অফিস এখন বন্ধ। অফিস খুললে আমজেলা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে অবৈধভাবে গরু আরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)