কলারোয়ায় প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠিত

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রচন্ড তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন। গরমের বিরূপ প্রভাব পড়েছে কর্মক্ষেত্রেও। দেখা দিয়েছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। কলারোয়ায় গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে লোড শেডিং চরম পর্যায়ে। প্রতিদিনই বেশ কয়েকবার করে বিদ্যুৎ চলে যায়। কখনো কখনো আধা ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায়না। এতে কলকারখানায় উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে প্রচন্ড খরতাপে কৃষি কাজে কৃষকদের মাঠে কাজ করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। প্রচন্ড গরম আর বৃষ্টিপাত তুলনামুলক ভাবে না থাকায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অতিষ্ঠ প্রাণিকুলও। ভ্যাপসা গরমে সবচেয়ে বেশী প্রভাব পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে। মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে দিনের স্বাভাবিক কাজ কর্ম। কর্মজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। হাট বাজারে টিনশেডের দোকানে বসে থাকা হয়েছে দুরূহ। তার ওপর লোড শেডিং সাধারণ মানুষকে অস্থির করে তুলেছে। কলারোয়া পৌর শহর ও আশ পাশের দোকান গুলেতে ফ্রিজজাত বিভিন্ন জুস, আইসক্রীম ও পানীয় বিক্রি বেড়েছে আর এতে করে ইতিমধ্যেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে উদ্বেগজনক হারে। বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কলারোয়ার নিন্মমানের  মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। আর এ কারণে কলারোয়াতে এসএমসি’র ওরস্যালাইনের দাম বেড়েছে। আর এই সুযোগে বিভিন্ন কোম্পানির নকল স্যালাইন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে বলে একটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। অপর দিকে প্রচন্ড তাপদাহ চলতে থাকায় এলাকায় পানির লেয়ার নীচে নেমে যাওয়ায় অনেক টিউবওয়েলে অল্প অল্প করে পানি উঠছে। কোথাও কোথাও টিউবওয়েল একেবারেই অকেজো হয়ে পড়েছে। অবস্থা এমন হয়েছে যে কলারোয়াবাসী প্রচন্ড রোদের খরতাপে অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই সাথে বাড়ছে ডায়রিয়া । গত তিন দিনে ১৩জন আক্রান্ত হয়ে কলারোয়া সরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে। সোমবার সকালে হাসপাতালে গেলে এমন তথ্য পাওয়া যায়। জানা গেছে, সাতক্ষীরায় গত ২সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা রেড়েই চলেছে। সোমবার সকাল থেকে +৩৮.৯৯সে রয়েছে। কলারোয়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের ইবাদুল ইসলামের কন্যা সেতু (১৩), মাদরা গ্রামের শামসের আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন (২৩), শুভংকরকাটি গ্রামের শ্রী প্রদীপ কুমারের স্ত্রী চম্পা রানী (৩২), উফাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরের স্ত্রী ফমেতা খাতুন (৫০), বাটরা গ্রামের মৃত রজব আলীর ছেলে শওকাত আলী (৫৮), পাঁচনল গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মুরসালিন (৩৬), আহসান নগরের আলাউদ্দিনের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৪৬), ছলিমপুর গ্রামের আঃ আলিমের স্ত্রী সালমা খাতুন (৩৫), বামনখালী গ্রামের রুহুল কুদ্দুসের স্ত্রী নাদিরা খাতুন (৩৮), নাকিলা গ্রামের মুজাহিদের স্ত্রী রিতা রানী (১৯), মানিকনগরের আতিয়ার রহমানের ছেলে নিপন (২৫), তুলসীডাঙ্গা গ্রামের আমজেদ আলীর স্ত্রী হিরা (৩৫), মাদরা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সানাউল(৯বছর)।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)