কলারোয়ায় এক জনপ্রতিনিধির হাতে এই প্রথম মোবাইল ফোন!
তথ্য-প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষতার এই যুগে কমপক্ষে একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ অনেক কষ্ট করে মেলানো হয়তো যায়। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এমন কারো হাতে মোবাইল ফোন নেই-সেটা খুঁজে মেলানো রীতিমতো কঠিন একটি কাজ। এমনই এক জনপ্রতিনিধির খোঁজ মিলেছে কলারোয়ার সীমান্তবর্তী চন্দনপুর ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নের ২ নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের (৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ড) সদস্যা জাহানারা খাতুন (৫২) মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। কেনো তিনি তা ব্যবহার করেন না, তার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। তবে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করেই তিনি টানা ৪ বার তাঁর এলাকায় সংরক্ষিত সদস্যা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন না কেউই। তিনি নির্লোভ-নির্মোহ এক প্রচার বিমুখ মানুষ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দারিদ্র মোকাবেলা করেই চলেন। সদালাপী ও সাদাসিধে এই লোকপ্রিয় মানুষটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করাটা তেমন পছন্দই করতেন না বলে জানা যায়। নিজের যখন কোথাও যোগাযোগ করা প্রয়োজন পড়তো তখন তিনি অন্যের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন কদাচিৎ। দিনে দিনে সময় বদলেছে। বদলেছে মানুষের চিরায়ত জীবনধারা। কিন্তু জাজানারা আপার জীবনযাপন রয়ে গেছে একই ধারায়। বাংলাদেশ যেখানে সকল ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজড্ হয়ে গেছে, সেখানে জাহানারা আপার মোবাইল ফোন ব্যবহার না করাটা যেনো এক পর বিস্ময়ের জন্ম জন্ম দিচ্ছে। তিনি যে মোবাইল ফোন কিনতে পারেন না, এমন কিন্তু নয়। কিন্তু তা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে হয়তো তিনি কারো দ্বারা অনুপ্রাণিতও হননি। অবশেষে জাহানারা খাতুনকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগালেন উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও অথৈ ইন্টারন্যাশনাল’র সত্ব¦াধিকারী চন্দনপুর ইউনিয়নের কাদপুর গ্রামের মশিউর রহমান। বুধবার তিনি নিজে নকিয়া ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল ফোন কিনে জাহানারা খাতুনের হাতে তুলে দেন। সেই সাথে তথ্য-প্রযুক্তির যুগে নিজেকে যুক্ত করলেন ইউপি সদস্যা জাহানারা খাতুন। ইউপি সদস্য হাসান মাসুদ পলাশ জানান, জাহানারা আপা টানা ৪ বার দায়িত্ব পালন করে আসছেন অত্যন্ত সুনামের সাথে। এই ফোন তাঁর যোগাযোগের ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করবে।