কলারোয়ার পল্লীতে অসামাজিক কাজ বন্ধের দাবিতে গ্রামবাসীর সমাবেশ

জুলফিকার আলী,কলারোয়া:
কলারোয়ার পল্লীতে অসামাজিক কাজের প্রতিবাদের গ্রামবাসী সমাবেশ করেছে। শনিবার বিকালে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া দক্ষিন পাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকাবাসীরা সমাবেশে জানিয়েছেন- গত ১৫ বছর পূর্বে গয়ড়া গ্রামের মৃত আহম্মদ আলী সরদারের ছেলে আরশাদ আলী  যশোর জেলার শার্শা উপজেলার ইউছুপুর গ্রামের সিরাজুল শেখের কন্যা আশুরা খাতুনকে বিবাহ করে। এর মধ্যে তাদের কোলে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। যার নাম সুরাইয়া বয়স(৫)বছর। আরশাদ আলী বিভিন্ন কাজে বাড়ীর বাহিরে থাকলে স্ত্রী আশুরা খাতুন বিভিন্ন লোকজনের সাথে অসামাজিক কথাবার্তা বলে বেড়ায়। এক পর্যায়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় তাকে আরশাদ আলী হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে তাকে তালাক দেয় আরশাদ আলী। এর পর থেকে আশুরা খাতুন  অরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আরশাদ আলীকে ঘর ছাড়া করে তার বাড়ি ঘর দখল করে নেয়। র্দীঘ ৫বছর ধরে ওই আরশাদ আলীর ঘরে অপরিচিত মানুষ আসা যাওয়া করে। এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করলে আশুরা খাতুন তাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। গালি গালাজ করে, তার ভয়ে কেহ কথা বলতে পারে না। এঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদে ৫টি দরখাস্ত দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নোর্টিশ করলেও সে এক দিনের জন্যও ইউনিয়ন পরিষদে আসে নাই। পরে এলাকাবাসীর পক্ষে আরশাদ আলী বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় এঘটনার প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছে। এই অভিযোগ দেওয়ায়  আশুরা খাতুন আরশাদ আলীকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করার জন্য হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে শনিবার বিকালে এলাকাবাসী অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ জনিয়ে সমাবেশ করেছে। এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য আ: হামিদ, ওয়ার্ড আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক  শাহারুল ইসলাম,এলাকাবাসীর মধ্যে আরশাদ আলী, আক্তারুল ইসলাম, সুজন, শরিফুল ইসলাম, শাহানারা খাতুন, মর্জিনা খাতুন, আনজুয়ারা খাতুন, রহিমা খাতুন, আছিয়া খাতুন, আনোয়ারা খাতুন, নাছিমা খাতুন, আখিমনি, মাজিদা বেগম, ফতেমা খাতুন, নাজমা খাতুন, বানু বেগম, মজনু, শওকাত আলী, ইব্রাহিম হোসেনসহ শত শত এলাকাবাসী। এদিকে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আ: হামিদ জানায়- আশুরা খাতুন র্দীঘ দিন ধরে এলাকায় অসামাজিক কাজ করায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। তাকে এই এলাকা থেকে বের করে দেওয়া উচিৎ। অন্যদিকে চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার মনিরুল ইসলাম মনি বলেন-ওই মহিলা খুবই খারাব। কয়েক বার নোর্টিশ করার পরে সে ইউনিয়ন পরিষদে আসে নাই। তার কারনে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তিনি শুনেছেন অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রামবাসী প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এলাকাবাসী সমাবেশে জেলা পুলিশ সুপারের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)