কলারোয়ার গয়ড়ায় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় এক অসহায় নারী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে
জুলফিকার আলী,কলারোয়া:
কলারোয়ায় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় এক অসহায় নারী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এবিষয়ে শনিবার কলারোয়া থানায় ওই ক্লিনিকের নার্স ও ডাক্তারের শাস্তি ও টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শনিবার বিকালে কলারোয়া উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের অসহায় নারীর স্বামী সোহাগ হোসেন জানান, ডাক্তারের প্রতারণায় পড়ে তার স্ত্রী জেসমিন খাতুন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হইয়ে গয়ড়া আছিয়া মেমোরিয়াল নার্সিং হোমে চিকিৎসার জন্য যায়। এসময় ওই ক্লিনিকের ডাক্তার রজমান আলী বলে এ সন্তান পেটে দাঁড়াবে না। ওয়াস করতে হবে। এ জন্য ৬হাজার টাকা লাগবে। এসময় ডাক্তার কবিরুল ও নার্স মনিরা খাতুন ওই রোগীকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ডাক্তারের কথায় জেসমিন খাতুনকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। কোয়াক ডাক্তার রমজান আলী ও ভুয়া নার্স মনিরা খাতুন নিজেই রোগীকে ওয়াস করে। এসময় তারা ওয়াস করার সময় রোগীর নাড়ি ছিঁড়ে ফেলে। তিন দিন ধরে রক্ত ঝরতে থাকে, বন্ধ না হওয়ায় রোগীর অবস্থা অবনতি হলে ক্লিনিক মালিক রোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলে যেতে বলে। পরে রোগীর অচেতন দেহ নিয়ে সাতক্ষীরার নাজমুল ক্লিনিকে ভর্তি করলে সেখানকার ডাক্তার গণ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানতে পারেন রোগীর শরীরে ওয়াস করার সময় নাড়ী ছিঁড়ে রয়েছে। পরে ওই ক্লিনিকের তাকে পুনরায় অপারেশন করে সন্তানের নাড়ী কেটে বাদ দিলে রোগীকে বাঁচানো হয়। এই ভুল চিকিৎসার কারণে অসহায় নারী জেসমিন খাতুনের জমা জমি বিক্রয় করে ২লাখ টাকা দিয়ে জীবন ফিরে পেয়েছে। এদিকে বিষয়টি গয়ড়া আছিয়া মেমোরিয়াল নার্সিং হোমের ডাক্তার রমজান আলীকে জানানো হলে তারা রোগীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে।
Please follow and like us: