এসএসসি পরীক্ষার আগেই তালায় রাতব্যাপী নগ্ন পুতুল নাচ, পূর্ণিমা অপেরা কর্তৃক যাত্রার নামে অশ্লীলতা
তালা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের গোপালপুর আমবাগান প্রস্তাবিত ইকো পার্ক উদ্বোধনের নামে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন ও কতিপয় অসাধু রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় র্যাফেল ড্র লটারির নামে জুয়া, পুতুল নাচ, যাত্রার নামে অশ্লীলতা আয়োজন চলছে।
শুক্রবার বিকেলে মেলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন। উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমানসহ বিভিন্ন সুধীজনরা।
জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন আগেই জানিয়েছিলেন, মেলার নামে কোন লটারী নামক জুয়া, পুতুল নাচসহ যে কোন ধরণের অশ্লীলতা চলবে না। একজন ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক সেখানে নিয়োজিত থাকবেন। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বচ্ছ ও পরিবার পরিজন নিয়ে উপভোগ করার মত স্থানীয় ও সাতক্ষীরার শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। শুধুমাত্র স্থানটির পরিচিতির জন্য এটি করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের এই কথা শুধুমাত্র মুখে থাকলেও বাস্তবতা ঘটেছে ভিন্ন। শুক্রবার রাত ৯ টা পর্যন্ত চলে সবকিছুই স্বাভাবিক নিয়মেই। এরপর শুরু হয় পুতুল নাচ নামক নগ্ননৃত্যু। টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৫০ টাকা। এভাবে চলে কয়েক পর্ব। এরপর শুরু হয় ভিন্ন চিত্র। রাত ১১টা থেকে প্রতিমা অপেরা কর্তৃক যাত্রার অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেখানে টিকিটের মূল্য করা হয় একশ টাকা, দেড়শ টাকা ও দুইশত টাকা। সেখানেও চলে অশ্লীলতা। স্থানীয় দর্শনার্থীসহ স্থানীয়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার প্রকৃত পেক্ষাপটের বিষয়ে জানাতে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীনের নিকট একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।
এদিকে, কোমলমতি এসএসসি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষার দশ দিন পূর্বেই যেন রাতব্যাপী নগ্ন পুতুল নাচ, পূর্ণিমা অপেরা কর্তৃক যাত্রার নামে অশ্লীলতাসহ কোন কার্যক্রম করতে না পারে সেজন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনার বাইরে কোন কিছুই সেখানে করতে দেওয়া হবে না। তাছাড়া কোন প্রকার নগ্ননৃত্য বা যাত্রার ব্যবস্থা করতে দেওয়া হবে না। কেউ করার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
Please follow and like us: