এসএসসির আগেই তালায় চলছে মেলার প্রস্তুতি: নেপথ্যে….?
বিশেষ প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার গোপালপুর ইকো পার্ক প্রস্তাবিত স্থানে শুরু হতে যাচ্ছে নগ্ননৃত্য, যাত্রা আর র্যাফেল ড্র নামক জুয়ার মেলা। যার নেপথ্যের আয়োজনকারী তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন। এদিকে, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে এহেন কর্মকান্ড পরিচালনা বন্ধের দাবিতে লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের গোপালপুর পুরাতন আমবাগান যা বর্তমানে প্রস্তাবিত ইকোপার্ক করা হচ্ছে সেখানে কতিপয় দূর্ণীতিবাজ জনপ্রতিনিধি ও তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেনের নেতৃত্বে আগত এসএসসি পরীক্ষার পূর্বেই নগ্ননৃত্য, যাত্রা আর র্যাফেল ড্র নামক জুয়ার মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। যা পরীক্ষার্থীসহ অবিভাবক মহলে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
র্যাফেল ড্র এর নামে প্রতি রাতে ৩০-৪০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয় আর পুরষ্কার দেওয়া হয় মাত্র ২-৩ লাখ টাকার। কৌশলে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। যা এসব কর্তা ব্যক্তিরা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। কিছুদিন পূর্বে তালার তেঁতুলিয়ায় এমন জুয়ার আসর চলাকালে মেলাবাজারের সাধন সাধুর বাড়িতে দূর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। র্যাফেল ড্র নামক জুয়ার আসরে মেতে অনেকেই সর্বশান্ত হয়েছে ইতোমধ্যে। বর্তমানে সরকার প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই তুলে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা যখন ক্লাসে ও পড়ায় মনোযোগী তখন এমন কর্মকান্ড সমাজ ও অবিভাবকদের মাঝে দারুণভাবে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
এদিকে, এসব অভিযোগের বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন জানান, যারা জামায়াত শিবির ও জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত তারাই এ মেলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এবং বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন বলেন, মেলায় কোন প্রকার অশ্লীল কোন কিছুই হবে না। র্যাফেল ড্র নামক কিছুই হবে না। শুধুমাত্র একটি সাধারণ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। যেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে সকলে মেলাটি উপভোগ করতে পারবেন। কেউ কোন প্রকার অশ্লীল কিছুর আয়োজন করার চেষ্টা করলে মেলাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তবে ইসলামকাটি ইউনিয়নের রুহুল আমিন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে এমন অসামাজিক কর্মকান্ড আমরা চাই না। আশাকরি দ্রুত এটি বন্ধের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তাছাড়া তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।