এক এতিম ছেলের হাফেজী পড়ার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে 10+ ক্লাব

মো. হাছিবুর রহমান নামের এক এতিম বাচ্চার হাফেজী পড়ার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে 10+  ক্লাব নামের একটি অনলাইন ভিত্তিক সংঘটন।  হাছিবুরের বাবা বেঁচে নেই, মাও নেই। সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের মৃত ইবাদুল শেখে’র ছেলে সে। সে উপজেলার সুজনশাহ্ এলাকায় ‘হামিউস সুন্নাহ্ মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর হাফেজী পড়ুয়া ছাত্র । ইতিমধ্যে, সে আট পারা পবিত্র আল কোরআন মুখস্ত করেছেন। কখনো কাছের কোন আত্নীয় আবার কখনো দূরের কোন শুভাকাঙ্ক্ষী আছিবকে অল্পস্বল্প আর্থিকভাবে সহায়তা করতেন। তাতে খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে সে হাফেজী পড়া চালিয়ে এসেছে।
এদিকে, 10+  ক্লাব নামের অনলাইন ভিত্তিক সংঘটনটি একটি এতিম বাচ্চা হিসাবে আছিবকে বেছে নিয়ে তার সমস্ত আর্থিক ও অন্যান্য দায়িত্বভার গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়। সংঘটনটির সকল সদস্যের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তারা আছিবের হাফেজী পড়া শেষ না হওয়া অবধি সকল খরচের দায়িত্বভার গ্রহন করে এবং তার নতুন পোশাক ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সকল সদস্যের পক্ষ থেকে সংঘটনটির সদস্য মো. সোহাগ হোসেন প্রথমবার হাছিবের হাতে তার এক মাসের সমস্ত খরচের টাকা তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংঘটনটির শুভাকাঙ্ক্ষী জহর হাসান সাগর। সকল সদস্যের উপস্থিত থাকার কথা তাকলেও পড়াশুনা ও কর্ম ব্যস্ততার কারনে সকলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন তাই সকলের পক্ষ থেকে সোহাগ হোসেন আছিবের হাতে উপহারটি তুলে দিয়েছেন।
দূরদূরান্ত থেকে যারা সম্পৃক্ততায় থেকে সহায়তা করেছেন তারা হলেন, মাইনুল ইসলাম, মো. আশরাফুজ্জামান, মো.সোহাগ হোসেন, মো. মাসুদূর রহমান মিঠু, শামিম হোসেন, আল মামুন, মঞ্জুরুল হক, রায়হান আহম্মেদ, নাজমুল হোসেন তুষার, খন্দকার আশিক, জাহিদুর রহমান, কবির হোসেন, রায়হান শেখ,গাজী শামিম, সোহেল রানা,মাহাবুবুর রহমান, নাইম আশিক, শহীদ শেখ, সোহেল রানা, আব্দুর রউফ, রিয়াদ হোসেন ও  নাফিসা তাবাচ্ছুম। এরা সকলেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র।
10+ ক্লাবের উদ্যোক্তা মাইনুল ইসলাম বলেন, আমরা হাছিবুর রহমানের হাফেজী পড়া শেষ করা পর্যন্ত আর্থিক ও অন্যান্য ভাবে সহযোগীতা করবো। আমরা যারা সহযোগীতা করছি সবাই এখনো ছাত্র। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আমরা পড়াশুনা করি এরই মধ্যে দিয়ে এ কাজটি আমরা চালিয়ে যেতে চাই। সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে আছিবের দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করলাম। তাছাড়া, আমাদের সংঘটনের পক্ষ থেকে তিনটি কার্যক্রম পরিচালনার ইচ্ছাও রয়েছে, সেগুলো হল: একজন এতিম হাফেজী পড়ুয়া বাচ্চার দায়িত্ব গ্রহণ ও পর্যায়ক্রমে হাফেজী পড়ুয়াদের দায়িত্বভার বৃদ্ধি করা  অন্যটি, বছরে একবার কোরআন বিতরণ ও শুদ্ধ কোরআন প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান আয়োজন করা ও পুরুষ্কার অনুষ্টানের ব্যবস্থা করা।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)