আশাশুনি প্রেসক্লাবে প্রধান শিক্ষক সুকুমার মন্ডলের সংবাদ সম্মেলন

আশাশুনি উপজেলার এইচ এন এস কে টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকুমার মন্ডল আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার বিকালে প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক সুকুমার বলেন, ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন, রাধাপদ বিশ্বাস। তার অবসরের পর চিত্তরঞ্জন অধিকারী তার স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি ১/২/১৪ তাং অবসর নিলে সহকারী প্রধান শিক্ষক রেণুকা বালা সরকার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হন। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক শূন্য পদে নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হলে  বিদ্যালয় থেকে রেনুকা বালা ও সিনিঃ শিক্ষক মৃণাল কান্তি সরকার প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করেন। বিধি মোতাবেক রেনুকা বালা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলে ৬/৭/১৪ তাং ম্যানেজিং কমিটির সভায় পরবর্তী সিনিঃ শিক্ষক কমল কান্তি মল্লিককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষার তাং নির্ধারণ হয় ২৩/৭/১৪। রেনুকা বালা প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে একজন অভিভাবককে ভুল বুঝিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কোর্টে মামলা করলে পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদী ভুল বুঝতে পেরে মামলা উঠিয়ে নেন। বিষয়টি তুলে ধরে জেলা প্রশাসকের কাছে সভাপতি ৭/৯/১৭ তাং আবেদন করলে, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তার কার্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণের এবং জেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এবং ২০/৯/১৪ তাং পরীক্ষার দিন ধার্য হয়। এবারও তিনি অভিযোগ করলে পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা হয় এবং সুষ্ঠু পরীক্ষা লক্ষ্যে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ইউএনওকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর জিপি’র মতামত নিয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে ৩০/৯/১৪ তাং পরীক্ষা নেওয়া হয়। তখন ইউএনও, একজন ম্যাজিস্ট্রেট, ডিজি প্রতিনিধিসহ বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষায় ৮ জনের মধ্যে তাকে (সুকুমার মণ্ডল) সর্বোচ্চ নং পাওয়ায় নির্বাচিত করা হয়। রেণুকা বালা যথাসময়ে ইনটারভিউ কার্ড পেয়েও পরীক্ষায় অংশ নেয়নি এবং ৯/১০/১৪ তাং জেলা যুগ্ম জজ ২য় আদালতে দেং ১০১/১৪ মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত ৪/৩/১৮ তাং মামলাটি বিনা খরচায় খারিজ আদেশ করেন। এরপরও মনিকা বালা থেমে থাকেননি। বরং স্থানীয়সহ বিভিন্ন পত্রিকায় “এইচ এন এস কে টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বেআইনি কমিটি দিয়ে নিয়োগ হয়েছে প্রধান শিক্ষক” শিরোনামে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করিয়ে চলেছেন। তিনি সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ও স্কুলের পরিবেশ বিনষ্ট করে এসেম্বলিতে যোগদান না করাসহ দুরভিসন্ধিমূলক আচরণ ও অবৈধ কার্যক্রম করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, এলাকাবাসী, অভিভাবক মন্ডলী ও সুধী সমাজের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)