আশাশুনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পদ ঝুলে থাকায় শিক্ষকরা বিপাকে

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পদ ঝুলে থাকায় শিক্ষরা বিপাকে পড়েছেন। শিক্ষা অফিসের কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে হতাশা।
আশাশুনিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন, মোসাঃ শামসুন্নাহার। তার বিরুদ্ধে যোগদানের পর থেকে নানা নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ কাজে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা চলছে।  তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বদলি বাণিজ্যের কারণে ঘুষের টাকা সহ সেনাবাহিনীর হাতে তিনি ধরা পড়ে জেল খাটেন। তাকে পটুয়াখালির জেলার দশমিনা উপজেলায় বদলির আদেশে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় গত ১৮ জানুয়ারি। উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ বাহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত (স্মারক নং ৩৮.১০১.০১৯.০০.০০.০০৫.২০১৭.১৯ তাং ১৮ জানুয়ারি ২০১৮) পত্রে তাকে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্বভার ২১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখের মধ্যো হস্তান্তর করতে বলা হয়। না হলে ২২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখ থেকে  অবমুক্ত বলে গণ্য করা হবেন মর্মে প্রজ্ঞাপন পাওয়ার পর থেকে তিনি অজ্ঞাতে চলে গেছেন। মোবাইলে যোগাযোগ করেও তার সাথে কথা  যায়নি। তিনি প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা মোতাবেক কারো কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও এখানে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে শিক্ষকদের বেতন ভাতার বিলে স্বাক্ষর না হওয়ায় টাকা উত্তোলন বিলম্বিত হবে। প্রতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে বিলে স্বাক্ষর নিয়ে একাউন্টস অফিসে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু সেটিও সম্ভব হয়নি। উপজেলায় শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে কেউ না থাকায় শূন্য পদেই চলছে অফিস। ফলে অফিসের কার্যক্রমে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকবৃন্দসহ উপজেলায় শিক্ষার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ বিষয়টির দ্রুত সমাধানের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুনীর আহমেদ বলেন, শিক্ষা অফিসার ১৮ জানুয়ারি ২ দিনের ছুটি নিয়ে চলে যান আর ফেরেননি। তিনি কাউকে দায়িত্ব না দেওয়ায় প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম বন্দ আছে। অন্য স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)