আশাশুনির দাঁতপুরে নিয়ম নিতি লঙ্ঘন করে খাল বেদখলে

আশাশুনি উপজেলার দাঁতপুর খাল, জলমহাল নীতিমালা লঙ্ঘন করে সাবলীজ প্রদান করা হয়েছে।

সাবলীজ গ্রহীতাদের দৌরাত্ম্যে নির্ধারিত সীমানা ভেঙ্গে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির সাথে একাকার হয়ে গেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
২০০৯ সালে সরকার ঘোষিত নীতিমালার ৪(ঢ) অনুচ্ছেদে ‘সাব লীজ প্রদান বা অন্য কাহারো দ্বারা জলমহাল ব্যবস্থাপনা করা যাবেনা’ এই বিধি নিষেধ রয়েছে। জলমহালটি ১৪২২-২৪ সাল পর্যন্ত মহিষাডাঙ্গা পূর্ব পাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লি: এর পক্ষে সম্পাদক বিরিঞ্চি ঢালী ইজারা নেওয়ার পর উক্ত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধ ভাবে স্থানীয় প্রভাবশালী অমৎস্যজীবী শ্রেণির লোকের কাছে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত ভাবে সাব লীজ প্রদান করে জলমহাল হস্তান্তর করেন। সাবলীজ গ্রহীতা শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, গাউছুল হক, ইমরান হোসেন, রবিউল ইসলাম বাবুল উক্ত জলমহাল ভোগদখল করেন এবং কেউ কেউ কিছু জমি অন্যদের কাছে পুনঃ সাবলীজ প্রদান করেন। তাছাড়া সাবলীজের কারণে অনেকগুলো মালিক হয়ে যাওয়ায় তারা খালের অসংখ্য স্থানে আড়াআড়ি মাটির বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে এসেছে। তাছাড়া ২০১৩ সালে তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইবাদত হোসেন জলমহালটি গুনাকরকাটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির অনুকূলে ইজারা থাকায় তাদেরকে সীমানা নির্ধারণ করে দখল বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সাবলীজ গ্রহীতা ইমরান হোসেন সেই সীমানা নষ্ট করে নিজের ঘেরের সাথে একাকার করে ফেলায় জলমহালের সীমানা গুলিয়ে ফেলেছেন। নীতিমালা লঙ্ঘনকারীদের পুনরায় ইজারা পাওয়ার বিধান নাই, বিধায় সরকারী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল প্রকৃত মৎস্যজীবী ও মৎস্যজীবী সমিতির অনুকূলে ১৪২৫-২৭ সনের ইজারা প্রদানের জন্য এলাকার মৎস্যজীবীরা জোর দাবি জানিয়েছেন। প্রতিকার প্রার্থনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফ্ফারা তাসনীন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)