আশাশুনির চাঞ্চল্যকর শিশু তৈয়বুর হত্যাকাণ্ডের বাদীপক্ষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে
আশাশুনি উপজেলার নকনায় চাঞ্চল্যকর শিশু তৈয়বুর হত্যাকাণ্ড মামলার বাদী পক্ষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আসামীপক্ষ মামলা তুলে নিতে হুমকি দিতে থাকায় স্বজনেরা এখন বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছে।
শিশু তৈয়বুর (১০) হত্যার পর নিহতের মা প্রতাপনগর ইউনিয়নের নাকনা গ্রামের আব্দুল গনি পাড়ের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা খাতুন আশাশুনি থানা ১৫(৫)১৮ নং মামলা দাওয়ের করেন। বাদী জানান, গত শুক্রবার গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি মুখে কালো কাপড় বেঁধে তার উঠানে আসে। কারা জিজ্ঞাসা করলে তারা মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। মামলা তুলতে পাারবেনা বললে তারা দেখে নেব বলে হুমকি দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। তিনি বলেন, মামলার প্রধান আসামী ফার্নিচার মিস্ত্রি মহসিন পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার মিরুখালী বাজারে একটি ফার্নিচারের দোকানে কয়েকদিন যাবত কাজ করছে। বাদী মঞ্জুয়ারা জানান, খলিল পাড় (৬০) এর নির্দেশে তার ছেলে মহসিন (৩০), ইয়াছিন (৩৪), স্ত্রী আশু বিবি (৫০), ইয়াছিনের স্ত্রী নার্গিস (২৭) ও মহসিনের স্ত্রী খুকু (২৬) তাদের বাড়ী ঢুকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। লোহার রডের আঘাতে দার ছেলে তৈয়বুর গুরুতর আহত হলে তাকে সাতক্ষীরা সদরে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঐদিনই খুলনা ৫’শ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় তৈয়বুর ২৫ মে মৃত্যুবরণ করে। মামলা দায়েরের মহসিনের শ্বশুর নাংলা গ্রামের আক্কাস গাইনের ছেলে কোপাত গাইন (বর্তমানে দেবহাটা থানার বাসিন্দা) ও তার সহোদর ইয়াছিনের শ্বশুর জয়নাল গাইন বিভিন্ন সময় মামলাটি তুলে নিতে প্রথমে অনুরোধ করে। রাজী না হওয়ায় তারা এবং তাদের দলীয় লোক নিহতের পরিবারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। কোপাত, জয়নাল গাইন ও তাদের লোকজন প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তিনি সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে আসামীদের গ্রেফতার ও তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।