আশাশুনির কাদাকাটিতে সংঘর্ষ আহত ৭

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :

আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি সানা বাড়ি আহলে হাদীছ জামে মসজিদে উন্নয়ন কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৬ জনকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার বিকালে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও মুসল্লীরা জানান, সানাবাড়ীর বিভিন্ন ব্যক্তি ৮ বিঘা ২৩ শতক জমি দান করে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে আলহাজ্ব গাওছুল হক ২২ শতক জমি দান করেন। সানাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মসজিদটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমান সভাপতি নওশের আলি সানা। ৩ সপ্তাহ পূর্ব থেকে মসজিদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন কমিটি গঠনের কথা বলছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু মসজিদের মুসল্লিদের মাধ্যমে মসজিদে না বসে কে বা কারা বাইরে থেকে কমিটি গঠন করে গত বৃহস্পতিবার কমিটির একটি তালিকা মসজিদে টানিয়ে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ না করা হলেও জনৈক মুসল্লি আলোচনার অবতারণা করেন। এনিয়ে হালকা কথাবার্তা হয়। এরই জেরধরে এদিন বিকালে একটি পক্ষ মসজিদ কমিটির অজ্ঞাতে মসজিদে মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আসরের নামাজের পূর্বে তালা দেখে মুসল্লিরা মসজিদে ঢুকতে পারেনি। পরে ইমাম সাহেব আসলে তালা খুলে দেওয়া হয়। নামাজের পরে সাবেক মেম্বার ইয়াকুব আলি বেগ তালা না লাগাতে বললেও তারা ৭/৮ জন লোহার রড, লাঠিশোটা, কোপা নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিতে থাকে। একপর্যায়ে মৃত জয়নাল গাজীর ছেলে মুজাক্ষের হঠাৎ করে আক্তার হোসেনের উপর হামলা চালায়। তখন তার লোকজন তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা চালান হয়। প্রতিপক্ষের হামলায় আকাশ, ইয়াছিন, খাদিজা, লিটিল, পম্পা ও খাদিজা রক্তাক্ত জখম হয়। তাদেরকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর পক্ষের ছোহরাব ও তামান্না আহত হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আক্তার হোসেন বাদী হয়ে সহারাব, ইমরান, মোশারফ, গোলাম রসুল, আজগার, মুন, মুজাক্ষেরকের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেছেন। আক্তার হোসেন জানান, থানায় অভিযোগ করার পরও প্রতিপক্ষ তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে চলেছে। ফলে তারা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।

Please follow and like us:

20