আশাশুনিতে ইজারা গ্রহীতাদের দখলচ্যুৎ করতে মামলা ও হুমকি

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের দাঁদপুর মৌজায়, “ক” তফসীল ভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির ইজারা গ্রহীতাদের দখলচ্যুৎ করতে, মিথ্যা মামলা ও হুমকি ধামকী দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাদাকাটি গ্রামের মৃত আঃ রহমান বেগের ছেলে জিয়াদ, এবাদ ও আজিজুল, মৃত কোরবান বেগের ছেলে কবির, মৃত অহেদ সরদারের ছেলে মঈনুর, মৃত সুজাউদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম, মৃত জালাল সরদারের ছেলে রজব, মৃত ফজলে সরদারের ছেলে ফালু দিং দাঁদপুর মৌজায় এসএ ৬৪ নং খতিয়ানে সাবেক ১১০৪ থেকে  ১১১৯ দাগসহ অন্যান্য দাগে ১০.৩৬ একর জমি সরকারের নিকট থেকে ১৯৯৫ সাল থেকে ইজারা গ্রহণ করে ভোগ দখল করে আসছেন। যা “ক” তফশীলভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি। জমিগুলো আরার গ্রামের ফজলু খদগিরীর ছেলে মোস্তাক দিং লীজ নিয়ে মৎস্য ঘের হিসাবে ব্যবহার করছেন। তাদেরকে অবৈধ ভাবে দখলচ্যুৎ করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে একই গ্রামের মৃত তাছের আলী বেগের ছেলে রজব আলি বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সাতক্ষীরায় পি-৫৭৩/১৭ মামলা রুজু করেন। মামলার তদন্তভার প্রাপ্ত হয়ে কাদাকাটি আইডিয়াল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১ম পক্ষ (বাদী) নারাজি প্রদান করেন। তখন বিজ্ঞ আদালত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনিকে তদন্তভার প্রদান করলে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আঃ বারী দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে গত ৩/১০/১৭ তাং বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষের কাগজপত্র, ৩২৩(আশাঃ)/৮৩-৮৪ নং ভিপি ইজারা কেসনথি ও গেজেট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অত্রাফিসাধীন দাদপুর মৌজার এসএ ৬৪ নং খতিয়ানে সাবেক ১১০৯, ১১১০ সহ অন্যান্য দাগে ১০.৩৬ একর সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির ‘ক’ তফসীল বর্ণিত সম্পত্তি হইতেছে। যাহা ২য় পক্ষগণ সরকারের নিকট থেকে নীতিমালা অনুযায়ী ইজারা গ্রহণ করে ভোগদখলিকার আছেন।” তখন তাদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে বুঝতে পেরে ১ম পক্ষ রজব আলি ও নজরুল ইসলাম দিং আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তারা বিভিন্ন অফিসে নতুন করে দরখাস্ত করে হয়রানীর পাশাপাশি জমিতে গিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করছেন। ফলে বৈধ ইজারা গ্রহীতারা চরম ভাবে হয়রানী ও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামানা করা হয়েছে।

Please follow and like us:

20