আশাশুনিতেতে জুয়া,লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জুয়াড়ি চক্র
সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি:
আশাশুনিতে কতিপয় দালাল এর নেতৃত্বে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। তাদের নেতৃত্বে গত দেড়মাস ধরে বিভিন্নস্থানে পূজা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মেলার নামে জুয়ার জমজমাট আসর বসিয়ে যাচ্ছে জুয়াড়িদের একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র। প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় ধারাবাহিক জুয়ার আসর বসিয়ে এরা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আশাশুনি,বড়দল,শ্রীউলা,খাজরার কিছু চিহ্নিত দালাল ও অপরাধ জগতের সদস্যরা এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গেছে। এসব জুয়ার মেলায় মাদকদ্রব্যের অবাধ বিকিকিনির পাশাপাশি পতিতা ও অপরাধীদের মিলনমেলা ঘটছে। এসব দালাররা প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে বিগত দেড়মাস যাবত এভাবে জুয়া-মাদক ও পতিতার আসর বসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় দুইমাস আগে থেকেই কালীপূজা,যাত্রা ও মেলার নামে জুয়াখেলা বসানো হচ্ছে আশাশুনির বিভিন্ন স্থানে। বড়দল,গোয়ালডাঙ্গা,আশাশুনি, খাজরা, কাদাকাটি, আনুলিয়া সহ বিভিন্ন গ্রামে কালীপূজা,যাত্রা ও পৌষমেলার নামে গত দুই মাসে অনন্ত ত্রিশ জায়গায় জুয়ার আসর সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এ জুয়াড়ীচক্র। ক্ষেত্রবিশেষে একই দিনে একাধিকস্থানে আয়োজিত এসব জুয়ার আসর দুই থেকে চার লাখ টাকায় অপর জুয়াড়িদের কাছে ইজারা দিয়েছে তারা। সে হিসাবে ত্রিশ টি জুয়ার আসর থেকে বিগত দুইমাসে কম করে হলেও পঞ্চাশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চিহ্নিত জুয়াড়ি সিন্ডিকেট। আর এসব জুয়ায় ছয়গুটি, তিনগুটি, বাঘ-গরু, ,তিনতাস, রকমারি নামের জুয়াখেলা বসিয়ে প্রতিদিন হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকার বিপথগামী যুবকরা চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়াচ্ছে। ফলে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ সামাজিক মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে। এসব জুয়ার আসর একটানা তিন চারদিন ধরে চলমান থাকায় জুয়াড়িরা স্বদলবলে আবাসিকভাবে অবস্থান করে বলে জানা গেছে। এসময় তাদের মনোরঞ্জনের জন্য পতিতাও সররবরাহ করছে আয়োজকরা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, এসব জুয়ার আসর বসানোর আগে প্রশাসন, সাংবাদিক, প্রেসক্লাব ও নেতা ম্যানেজ করার জন্য প্রতিটি জুয়ার আসরেরর জন্য অনন্ত একদুই লাখ টাকা করে অগ্রিম নেয় কথিত দালাল । তার গ্রিন সিগন্যাল পেলেই শুরু হয় জুয়াখেলার মহা কারবার। জুয়া খেলা এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, জুয়াখেলার নিউজ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ না হওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিক ম্যানেজের দায়িত্ব পালন করেন এক সাংবাদিক।গোয়াল ডাঙ্গা গ্রামের এক বাসিন্দা জানান এখানে প্রতিনিয়ত জুয়া খেলা হয়।আর এ জুয়ার টাকা স্থানীয় গোছের নেতা,স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এক সাংবাদিক নিয়মিত মাসো হারা নিয়ে থাকেন। খাজরা ইউনিয়নের এক বাসিন্দা জানান প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিনিয়ত ছোট খাট জুয়া খেলা চলছে ফলে যুব সমাজ অপরাধ জগতে জড়িত হচ্ছে।কাদাকাটি গ্রামের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে বাশঁবাগানে,মাছের ঘেরে প্রতিনিয়ত চলছে তাস খেলার নামে জুয়া।আর এসব জুয়া থেকে কেউ খালি হাতে ফেরেন না।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম শাহিন জানান, মাদক ও জুয়াড়িদের আমরা চাপে রেখেছি । আশাশুনি যেহেতু চিংড়ি চাষের এলাকা সে কারণে অনেক সময় ঘেরের চৌকিতে বসে মাদক সেবন করে । অনেক ক্ষেত্রে জুয়াড়িরা কোন কোন স্থানে তাদের খেলা চালাই । আশাশুনির রাস্তাঘাট খারাপের কারণে জুয়াড়ি বা মাদক সেবিরা অনেক সময় পার পেয়ে যায় । তবুও আমরা এসকল বিষয়ে সজাগ আছি।