আদালতের আদেশ অমান্য করে আশাশুনির জামাত নেতার কালিগঞ্জে মৎস্য ঘের লুটপাট ও দখলের অভিযোগ

মো আরাফাত আলী:
আদালতের আদেশ অমান্য করে কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়নের চান্দুলিয়া গ্রামে ১২ বিঘা মৎস্যঘের লুটপাট ও দখলের অভিযোগ উঠেছে আশাশুনির জামাত নেতা ও সাতক্ষীরায় চাঞ্চল্যকার মামুন হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী  মোস্তফা মাহবুবুল আলম ও তার সহোদর জামাত নেতা রফিকুল হাসান, মজনু মোশারফ,মন্টু সরদার, ,আব্দুলাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারনে নিজের দখলীয় সম্পতিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের বদরুদ্দোজা চৌধুরির ছেলে কামরুল কবির সাতক্ষীরা ম্যাজিষ্টেট কোর্টে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা করেন। ওই ঘেরের জমিতে বাদীর শান্তি শৃংখলা ভাবে দখল বজায় রাখার জন্য আদলতের নির্দেশ থাকলেও সেটি উপেক্ষা করে এলাকার ত্রাস সৃষ্টি কারী হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী  শ্রীউলা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান সরদারের ছেলে মোস্তফা মাহবুবুল আলম (৫৭), জামাত নেতা রফিকুল হাসান (৫৫) তার সহোদর সহ তার পোষা বাহিনি নিয়ে ওই ঘের লুটপাট ও দখল করে নেন।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ঘের মালিক  ইসলাম কবির চৌধুরী। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায় একজন সক্রীয় জামাত নেতা ও অর্থদাতা এবং  মামুন হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী মোস্তফা মাহবুবুল আলম ও তার সহোদর  জামাত নেতা রফিকুল হাসান মজনু মোশারফ,মন্টু সরদার, ,আব্দুলাহ আল মাহমুদ সহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ২২ জন ব্যাক্তি দেশীয় অস্ত্র ঢাল,সড়কি,রামদা আগ্নেঅস্ত্র বোমা সহ গত ৬-৩-১৮ তারিখে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে ওই ঘেরের ভিতরে প্রবেশ করে ৪-৫ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। এসময় কবির চৌধুরির ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়ে আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার মাছের ক্ষতি সাধন করে। তাছাড়া ওই দিন রফিকুল হাসান ও এবং তার পোষা বাহিনি  প্রকাশ্যে রামদা নিয়ে কবির চৌধুরির ঘেরের কর্মচারীদের হত্যার উদ্ধেশ্যে  আক্রমণ করে বলে থানার অভিযোগে উল্লেখ আছে। এ ব্যাপাওে জানার জন্য মোস্তফা মাহবুবুল আলম রফিকুল হাসানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন আইন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আইননুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী ও দখলবাজ এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি কারী মোস্তফা মাহবুবুল আলম ও তার সহোদর জামাত নেতা রফিকুল হাসানের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী এলাকা বাসী।
এ ব্যাপারে রফিকুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ,এই জমির মধ্যে আমার  জমি আছে  ওনার  ও জমি আছে । আমি আমার জমির দখল নিতে গিয়েছিলাম ।তবে আমি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে বা কোন অপরাধের সাথে জড়িত নয়।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)