শিবপুরে পাল্টাপাল্টি মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার দুই আওয়ামীলীগ নেতা

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুরে দুই ইউপি সদস্যর জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলার কারণে যেকোনো মূহুর্তে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে দুই এলাকার জনগণ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর দুয়েক আগে শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য খালেদা আক্তারের স্বামী বাবুর আলী আমেরিকা প্রবাসী মিন্টন হোসেনের প্রায় ১০বিঘা জমি ক্রয় করে দেয়। জমি ক্রয় করে দেওয়ার সূত্রে মিন্টনের জমি সহ পাশ্ববর্তী জমি হারি নিয়ে মাছ চাষ করে বাবুর আলী। কিন্তু হারির টাকা যথা সময়ে দিতে না পারাই বাবুর আলীর লীজকৃত ঘেরটি শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মহাদেব সরকারের কাছে লীজ প্রদান করে মিন্টনরা। এসময় বাবুর আলীর ক্ষতিপূরণ দাবির ফলে শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্যর উপস্থিতে বাবুর আলীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৮৬হাজার টাকা দেয় মহাদেব সরকার এবং বাবুর আলী মহাদেবের ঘেরের পাশে ক্রয় সূত্রে ঘের করতে পারবে তবে লীজসূত্রে নয় বলে অঙ্গীকার নামায় সাক্ষর করে উভয়পক্ষ। তবে বাবুর আলী মহাদেব মেম্বারের ঘেরের পাশে জমি ক্রয় করে ঘের বাধতে গেলে ঝিটকীর সাজ্জাত হোসেনের নেতৃত্বে বাধা সৃষ্টি করে ইউপি সদস্য মহাদেব সরকার। পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির সহযোগিতায় নিজের ক্রয়করা সম্পত্তিতে ঘের বাধেঁ বাবুর আলী। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সকালে সাজ্জাত হোসেনের নেতৃত্বে মহাদেব সরকার ও তার বাহিনী বাবুর আলীর ঘেরের ভেরি ভেঙ্গে দেয়। ঘেরের ভেরি ভাঙ্গার সময় বাবুর আলীর স্ত্রী খালেদা আক্তার বাধা দিলে উভয়পক্ষের ভিতরে কথাকাটাটি হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য মহাদেব সরকার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খলিলকে ফোন করে আসতে বলে। ঘটনাস্থলে ইউপি সদস্য খলিল পৌঁছানোর সাথে সাথে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন ইউপি সদস্য মহাদেব সরকার, খালেদা আক্তার ও বাপ্পী হোসেন । নাম প্রকাশ্য অনিচ্ছুক এক আওয়ামীলীগ নেতা জানান, উভয়পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ইউপি সদস্য মহাদেব সরকারের ভাই জয়দেব সরকার খলিলকে সংঘর্ষ ঘটনায় মামলার ক্ষেত্রে তাদের পক্ষ নিয়ে সাক্ষী হওয়ার জন্য বললে সে সাক্ষী হবেন না জানান। পরবর্তীতে সংঘর্ষের ঘটনায় মিথ্যা সাক্ষী না দেওয়ার কারণে খলিলকে সংঘর্ষের ঘটনায় হুকুমদাতা হিসেবে সাজ্জাদের কথা মত খলিলের নামে মামলা করেন মহাদেব সরকার। অপরদিকে বাবুর আলীর স্ত্রী ইউপি সদস্য খালেদা আক্তার বাদী হয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট্র আমনী আদালত-১ এ সাতজনকে আসামী করে মামলা করে। খালেদার মামলায় শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান (মানি) ও মহাদেবের মামলায় ইউপি সদস্য ইব্রাহীম খলিলের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে স্থানীয়রা আরও জানান, উভয়পক্ষ সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত। তবে খলিল ও মানিকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। একারণে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে ও যেকোনো মূহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তারা। তবে মামলা সম্পর্কে কোনপ্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি উভয়পক্ষ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)