অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত গরু, ছাগল লোক চক্ষুর আড়ালে রাতের অন্ধকারে জবাই
বিশ্বজিৎ চক্রবর্তি , পাটকেলঘাটা :
পাটকেলঘাটা বাজারসহ উপজেলার বাজার ও বিভিন্ন স্থানে ডাক্তারি ফিটনেস সনদ ছাড়াই পুরোদমে চলছে রোগাক্রান্ত গরু জবাইর হিড়িক। এতে ক্রেতারা দারুনভাবে প্রতারিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, পাটকেলঘাটা সদরসহ উপজেলার সবকটি বাজারে প্রতিদিন কসাইরা গরু ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করে।
জনসাধারণের অভিযোগ রয়েছে অধিকাংশ কসাইদাররা অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত গরু লোক চক্ষুর অন্তরালে রাতের অন্ধকারে জবাই করে সকালে বস্তাভর্তি মাংস বাজারে নিয়ে ফ্রেশ গরুর মাংস বলে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। পশু জবাইয়ের আগে প্রত্যেকটি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্ব উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস কর্তৃক দেখভাল করার কথা থাকলেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তা করা হয় না। বিশেষ করে রোগাক্রান্ত গরু কম দামে কিনে বেশী দামে মাংস বিক্রির প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় কসাইদাররা রাতের অন্ধকারে যত্রতত্র গরু জবাই দিচ্ছে। পাটকেলঘাটার নজরুল ইসলাম রাজু,শাহিনুর রহমান জানান, রাতের অন্ধকারে গরু জবাই করে বাজারে মাংস বিক্রি করে কসাইয়েরা, কেও জানেনা গরুটি কেমন সুস্থ নাকি অসুস্থ, অনেক সময় গাভী গরু জবাই করে তাজা বলদের মাংস বলে চালিয়ে দেয় কসাইয়েরা। অনেক মাংস বিক্রেতা ক্রেতার আস্থা অর্জনের জন্য নিজেরাই পশুর শরীরে সত্যায়িত করণের জাল সিল মেরে মাংস বিক্রি করে থাকে। যত্রতত্র রাস্তার পাশে পশু জবাই করে দূষিত করে তোলা হচ্ছে সেখানকার পরিবেশ। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ‘যত্রতত্র পশু জবাই করা যাবে না’- এ ব্যাপারে সরকারি গেজেট হলেও এ আইন মানছে না ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে বিভিন্ন হাট বাজারে ও পাড়া মহল্লায় ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়াই রোগাক্রান্ত গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ জবাই করে দেদারসে বিক্রি করা হচ্ছে। গবাদি পশুর শরীরে জলাতঙ্ক, হাম, ক্যান্সার, গুটি বসন্তসহ বিভিন্ন রোগ থাকতে পারে। এসকল রোগ পরীক্ষা ছাড়াই গবাদি পশু জবাই করা এবং বিক্রি করা আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু সরকারি এ আইনকে অমান্য করে পাটকেলঘাটাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গবাদি পশু জবাই করা হচ্ছে। আইনটি প্রয়োগের দায়িত্ব পশু সম্পদ ও স্বাস্থ্য বিভাগের হলেও এ ব্যাপারে তাদের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। এক শ্রেণির অসাধু মাংস ব্যবসায়ী বয়স্ক ও রোগাক্রান্ত পশুর মাংস হাটে-বাজারে অবাধে বিক্রি করছে। অনেক সময় মৃত পশুর মাংস কমমূল্যে বিক্রি করে থাকে অসাধু এ চক্রটি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকা পালন করছে।
Please follow and like us: