‘অবাধ মিলন’ -এ রাজি না হওয়াই…

বিভিন্ন সংবাদপত্রে ১৭ অক্টোবর প্রকাশিত একটি সংবাদের হেড লাইন ছিল ‘স্যুটকেসে মৃত মডেল’ তথা ‘নায়িকা হতে এসে হলেন লাশ’। সে সংবাদে বলা হয়, ভারতের মুম্বাইয়ের মালাড এলাকা থেকে স্যুটকেস ভর্তি এক মডেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২০ বছর বয়সী ওই মডেলের নাম মানসী দীক্ষিত।

ঘটনার নেপথ্যে পুলিশ জানিয়েছে, অভিনেত্রী হওয়ার আশায় রাজস্থান থেকে মুম্বাই এসেছিলেন মানসী। ওইসময় রোববার রাতে আন্ধেরিতে মোজাম্মেল সাঈদ নামে এক যুবকের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। এরপর সেখানে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়।

1.‘অবাধ মিলন’ -এ রাজি না হওয়াই...

ওইসময় পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মোজাম্মেলই দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন মানসীকে। তবে তার সঙ্গে মানসীর কী সম্পর্ক ছিল, তা জানাতে পারেননি পুলিশ।

পরে মোজাম্মেলকে গ্রেফতারের পর পুলিশ দাবি করেন, মানসীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তবে ওই সময় খুনের স্পষ্ট কোন কারণ জানা যায়নি। তবে এখন জানা গেছে তার কারণ, শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি না হওয়ায় মানসী দীক্ষিত নামের ওই মডেলকে হত্যা করা হয়। মোজাম্মেল নিজের দোষ স্বীকার করাই নয় বরং কেন মানসীকে সে খুন করেছে, সেটাও জানিয়েছেন।

পুলিশের বক্তব্য, মানসী গত সোমবার মোজাম্মেলের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি তাকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। এতে সরাসরি নাকচ করে দেন মানসী। এরপরই তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। উত্তেজনা এতটাই চরম পর্যায়ে যায় যে, রাগের বশে চেয়ার দিয়ে মডেলের মাথায় সজোরে আঘাত করেন মোজাম্মেল। এরপর দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাকে।

খুনের প্রমাণ না রাখতে পরে মরদেহ স্যুটকেসে ভরে ক্যাব বুকিং করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মোজাম্মেল। পরে ক্যাব দাঁড় করিয়ে ওই স্যুটকেসটি ফেলে দেন ঝোঁপের মধ্যে। ওই সময় তিনি একটি বড় ভুলও করেন, টা হলো ক্যাবের ভাড়া না মিটিয়ে অটোরিকশায় করে পালিয়ে যান মোজাম্মেল।

পরে ১৯ বছরের মোজাম্মেলকে ধাওয়া করে ক্যাব চালকও। তাকে ধরতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন চালক। এরপর তদন্তে নেমে ওই স্যুটকেসের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। ক্যাব চালকের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয় স্যুটকেস বন্দি মডেলের লাশ। এরপর মোজাম্মেলের ফোনের লোকেশন ট্রাক করে তাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে মোজাম্মেল জানিয়েছেন, মানসী তার বাড়িতে আসলে, তাকে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তাব দেন মোজাম্মেল। এতে মানসী রাজি না হওয়ায় রেগে গিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন তিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)