অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ‘শাজাহান খান’
বাসচাপায় নিহত দুই স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মন্তব্যের সময় হাসি নিয়ে অবশেষে ক্ষমা চাইলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, বাস দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময় হাসির ঘটনায় কেউ মর্মাহত হলে তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিলে বিসিআইসি মিলনায়তনে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের প্রতিনিধি সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা নানাভাবে কথা বলার চেষ্টা করেন। আমিও কথা বলার সময় তাদেরই কথার প্রেক্ষিতে হেসেছি কখনো, কখনো অন্যভাবে কথা বলেছি। শুধু ওইটুকুই নয়, আরও অনেক কথা হয়েছে, যদি কেউ ফুটেজ সব দেখতে পারেন, ভালো হবে। এ বিষয়ে যারা আহত হয়েছেন আমি এ জন্য দুঃখিত, লজ্জিত।’
বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যা করলে চালকদের প্রচলিত আইনে শাস্তি পেতে হবে উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, এ ধরনের ঘটনায় শাস্তি থেকে রক্ষার জন্য কোনো শ্রমিক সংগঠন ওই চালকদের পক্ষ নেবে না।
উল্লেখ্য, রোববার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল রেডিসনের সামনে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের চাপা দেয় জাবালে নূর (ঢাকা মেট্রো ব-১১৯২৯৭) পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই এক ছাত্র ও এক ছাত্রী নিহত হন। এছাড়া আহত হয় বেশ কয়েকজন।
দুর্ঘটনার পর ওইদিনই সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী শাজাহান খান হেসে এর জবাব দেন। তার হাস্যোজ্জ্বল ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে যায়। সর্বত্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর পরের দিন সোমবার নৌমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে।
মঙ্গলবারও শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভে দেশের প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র মতিঝিল, ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট, তেজগাঁও, নাবিস্কো, বাড্ডা, রামপুরা, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মিরপুর-২, মিরপুর-১০, আগারগাঁও, খিলক্ষেত, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, শান্তিনগরজুড়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।